অন্যরকম খবর ডেস্ক : পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে, যা দেখলে আপনি দ্বিধায় পড়ে যাবেন, এটা হলিউড মুভির সেট নাকি বাস্তবের পৃথিবী। হাল ফ্যাশনের ভ্রমণে আজ থাকছে পৃথিবীর বিস্ময়কর দেশ আইসল্যান্ডের তিনটি সমুদ্রসৈকতের গল্প, যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই, আর ভাবাবে সৌন্দর্যের গভীরতা সম্পর্কে। আর মনে করিয়ে দেবে বিখ্যাত সেই প্রবাদ, ‘সত্য কল্পনার চেয়ে অদ্ভুত’।
৬০ মিলিয়ন বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের অবশেষ থেকে এই দ্বীপের সৃষ্টি। এখানে বসবাসকারী মানুষ জাতিতে নর্স ও কেল্টীয়। শুরুর দিকে মূলত নরওয়েজীয় নাবিক ও অভিযানকারীরা এখানে বসবাস করত। এখনকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই বিস্ময়কর যে মনে হবে আপনি আসলে অন্য কোনো গ্রহে চলে এসেছেন।
স্কেফটফেল চার রঙের সমন্বয়
সবুজ মাঠের পাশে হলুদাভ সমুদ্র, কালো রঙের সমুদ্রসৈকত আর নীল সাগর—কী ভাবছেন, এ আবার কোন জায়গা? অথচ এর অবস্থান কিন্তু ভিনগ্রহে নয়, আমাদের পৃথিবীতেই। এই জায়গার নাম ‘আইসল্যান্ড’। এখানে এমন সব বৈচিত্র্যপূর্ণ সমুদ্রসৈকত আছে, যা ধারণাকেই বদলে দেবে।
আইসল্যান্ডের ‘ভাটনাজোকুল জাতীয় উদ্যানে’ অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকতের নাম ‘স্কেফটফেল’। মূলত এখানে এখনো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থাকায় এমন অপার্থিব রঙের সমন্বয় দেখা যায়। এখানে রয়েছে সবুজ ভূমি, কালো সৈকত, হলুদ নদী আর নীল সাগর।
এ এক বিস্ময়কর সমুদ্রসৈকত, যেখান গেলে বড় বড় হীরার টুকরাসদৃশ স্ফটিক দেখা যায়। ‘ইউকুলসারলোন গ্লাসিয়ার লেগুন’, যেখানে আটলান্টিক মহাসাগরের বরফের স্ফটিক পাথরগুলো ঢেউয়ের সঙ্গে বালুতটে আছড়ে পড়ে এক অপূর্ব দৃশ্যপটের সৃষ্টি করে।
এগুলো যখন আবার ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ফিরে যায়, আবার জলে পরিণত হয়। এমনকি গ্রীষ্মের সময় যখন ঝকঝকে সূর্যের আলোয় কালো সমুদ্রসৈকতে বরফের এই স্ফটিকে আলোর ছটা পড়ে, রংধনুর সাত রং ছড়িয়ে পড়ে।
এক অদ্ভুত সুন্দর সমুদ্রসৈকত, যার বালুতট কালো রঙের। আছে রহস্যময় পাথর, যা আপনাকে মুহূর্তে আদিম কোনো সভ্যতায় হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি দেবে। সৈকতজুড়ে আছে কালো পাথর। এখানে এক একটা ঢেউ মানুষের সমান উচ্চতায় আছড়ে পড়ে বালুতটে। এই জন্য খুব গভীরে যাওয়া নিষেধ। এর অবস্থান আইসল্যান্ডের পশ্চিমে।
ভ্রমণ কেবল অনুভবের নয়, অনুধাবনেরও। একটা সময় হয়তো ইচ্ছা হবে, কিন্তু শরীর টানবে না। তাই একটু অর্থ সঞ্চয় করে চলে যেতে পারেন এমন কোনো গন্তব্যে অন্য রকম অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।