স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার ম্যাচে অদ্ভূত এক আউট দেখল পুরো বিশ্ব। ‘টাইমড আউট’ নিয়ে নিয়ম থাকলেও ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম এমন আউট হলেন লংকান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
সাকিবের ওভারে এই আউট নিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আমি যুদ্ধে ছিলাম, আমার যেটাই করার দরকার ছিল, সেটা করেছি।’
সাকিব বলেন, ‘একজন ফিল্ডার আমাকে এসে বলে এটা যদি আবেদন করা হয় তাহলে আউট হবে। আম্পায়ার আমাকে জিজ্ঞেস করে, সিরিয়াস কী না।এটা আইনে আছে, আমি জানি না এটা সঠিক নাকি ভুল।’
‘টাইমড আউট’ নিয়ম অনুযায়ী, আগের ব্যাটার আউটের পর পরবর্তী ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে পিচে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। বিশ্বকাপে সেই সময় কমে হয় ১২০ সেকেন্ড অর্থাৎ, ২ মিনিট। মাঠে প্রবেশের পর দুইবার হেলমেট পরিবর্তনের কারণে ম্যাথিউস সেই সময় নষ্ট করে ফেলেন। এরপরই সাকিব আল হাসান আউটের জন্য আবেদন করেন। আম্পায়াররা পরে আউট দিয়ে দেন। কোনো বল মোকাবিলা করার আগেই বিদায় নেন ম্যাথিউস। মাঠ ছাড়েন রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে।
চেকের টাকার অংক লিখেই ‘Only’ শব্দটি কেন লেখা হয়? ৯৯% মানুষ জানেন না আসল কারণ
এই আউটে বোলার কোনো ক্রেডিট পান না। রান আউটের মতো একটি আউট বলেই এটি বিবেচিত হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন আউট দেখা না গেলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এমন ৬টি আউটের নজির আছে। ২০০৬-০৭ মৌসুমে নিউল্যান্ডস টেস্টে এমন আউটের মুখে পড়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকার। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ের পরে ক্রিজে ঢুকলেও আউটের আবেদন করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।