বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত করার ক্ষেত্রে জামায়াত কারো সঙ্গে আপস করবে না। তিনি বলেন, জামায়াত প্রতিশ্রুতি নয়, কথা ও কাজে মিল রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ; দেশ ও জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুর পীরেরবাগ ঝিলপাড়ে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে ডা. শফিকুর রহমান সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে এবং মিরপুর পূর্ব থানার কর্মপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১৫ আসনের সচিব শাহ আলম তুহিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, কাফরুল জোনের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন ও মিরপুর পূর্ব থানার সেক্রেটারি ওয়াহিদুল ইসলাম সাদী।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জামায়াত শুধু প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে না; বরং কথা ও কাজের মধ্যে মিল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনের আগে কিছু মানুষ বা দল বাংলাদেশকে আমেরিকা-কানাডা বানানোর স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু নির্বাচনের পর তারা সেই ওয়াদা আর রাখে না। তাই বিগত ৫৪ বছরে দেশের মানুষ বহু ধোঁকা খেয়েছে।
এবার এসব ধোঁকাবাজকে ‘না’ বলুন।” তিনি বলেন, অতীত-বর্তমানের আমলনামা দেখে আগামীতে তাদের আমলনামা কী হবে তা বুঝতে হবে। তাই শুধু কথামালার ফুলঝুরিতে বিভ্রান্ত হলে চলবে না; বরং ভোটারকে অবশ্যই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবাইকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। তাই এ দেশ কারো নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে না। কাউকে দাদা বা বড় ভাই আমরা মানব না। নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মসম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলব। কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়; সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তি হবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র।
আমরা কারো কাছে নতজানু হব না। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আমরা কারো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করব না। জনগণ আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আমরা নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজকে এমনভাবে গড়ে তুলব, যাতে তাদের সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়। আমরা এমন এক প্রত্যয়ী যুবসমাজ গড়ে তুলতে চাই, যারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নিজেরাই সরকারকে সহযোগিতা করবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা এত দিন অতীত নিয়ে কামড়াকামড়ি করেছি। ফলে আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছি। বিশ্বের অপরাপর জাতি যখন সামনের দিকে এগিয়ে গেছে, তখন আমরা এখনো পশ্চাৎপদ। কিন্তু এখন দিনবদলের সময় এসেছে। তাই দেশ ও জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে আমাদের ইতিবাচক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের সরকার গঠন করার সুযোগ দিলে নৈতিক ও উন্নত জাগতিক শিক্ষা চালু, সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং সভ্য ও উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



