আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতবর্ষে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যেখানকার রহস্য উদঘাটন করা আজও সম্ভব হয়নি; তেমনি এক মন্দিরের কথা আজকের প্রতিবেদনে রইল। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছাকাছি ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে একটি হাজার বছরের প্রাচীন মন্দির। এই মন্দিরটিতে আজও ভগবান জগন্নাথের মূর্তি পূজা হয়। তবে মন্দিরটি আজ এক রহস্যময় মন্দির হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই মন্দিরটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জানা গেছে মন্দিরের ভিতরে একটি ভগবান বিষ্ণু মুর্তি রয়েছে। আর এই বিষ্ণুর মোট ২৪টি অবতারের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এই মন্দিরের রহস্যটি হল বর্ষা আসার ৫ থেকে ৭ দিন আগে থেকেই ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে মন্দিরের ভেতরে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে থাকে। সারাবছরে আর কখনো এমনটা হতে দেখা যায় না।
ওই মন্দিরের পুরোহিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “এই মন্দিরটি বর্ষা আসার কিছুদিন আগেই গ্রামবাসীকে ধারণা দেয়। এমনকি ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির জল কেমন হবে সে বিষয়েও জানা যায়। তবে এটি কোন অলৌকিক বিষয় কিনা আজও জানা যায়নি। এই নিয়ে বহু গবেষণা করা হয়েছে।”
গবেষকদের মতে, এই মন্দিরের দেওয়াল এবং ছাদ এমনভাবে বানানো হয়েছে যাতে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই যেনো পূর্বাভাস দিতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে তারা কোন উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি।
কিলার লুকের সঙ্গে টাইটেনিয়াম ফ্রেম, বাজার কাঁপাতে আসছে স্যামসাংয়ের নতুন ফোন
প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে চুনাপাথর ব্যবহার করে। এর ফলে বৃষ্টির আগেই আর্দ্রতা পেতে শুরু করে এবং তা বায়ুমণ্ডল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে। আর এই আর্দ্রতা যখন পাথর পর্যন্ত পৌঁছে যায় তখন পাথর থেকে জলের ফোঁটা বেরিয়ে আসে। তবে যাই হোক না কেন — এই মন্দিরটি স্থানীয়দের কাছে ‘বর্ষা মন্দির’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.