স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির জামাতা শাহিন আফ্রিদি। নানা সময়ই শাহিন ও পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্কে কথা বলেন আফ্রিদি। সবশেষ শাহিনকে অধিনায়কত্ব দিয়ে আবার কেড়ে নেওয়ায় পিসিবির সমালোচনা করেছিলেন শ্বশুর। আবার শাহিনের অধিনায়কত্বের সময় বাবর সহযোগিতা করতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শাহিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে গঠনমূলক আলোচনাও করেন আফ্রিদি। তবে শাহিনকে নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছেন আফ্রিদি। কারণ, সেগুলো শেষ পর্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয় বলে জানান তিনি।
আফ্রিদি বলেন, ‘আমি (শাহিনকে নিয়ে) কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি, কারণ শাহিনকে নিয়ে আমার মন্তব্য প্রায় সময়ই নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। আমি তার খুব বেশি প্রশংসা করি না এবং সাধারণত সমালোচনাই করি।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এর নেতৃস্থানীয় কমকর্তাদের কঠোর সমালোচনাও করেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। তার মতে, নিজেদের বাঁচাতে খেলোয়াড়দের বলির পাঁঠা বানাচ্ছে পিসিবি।
আফ্রিদি বলেন, ‘কাউকে বাঁচাতে এক খেলোয়াড়কে অন্য আরেকজনের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো ঠিক নয়। তাই নিজেদের বাঁচাতে খেলোয়াড়দের ব্যবহার করা উচিত নয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের কাছে পিতার মতো। আমি পাকিস্তানের হয়ে ২০-২২ বছর খেলেছি, আমার সময়েও অনেক ঘটনা ছিল।’
পিসিবির বর্তমান সভাপতি মহসিন নকভি পালন করছেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও। পিসিবি সভাপতিকে যেকোনো একটি দায়িত্বে দেখতে চান আফ্রিদি।
সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘মহসিন নকভি পিসিবি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, তার উচিত যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়া। তিনি যদি পিসিবির উপদেষ্টাদের পরামর্শ শোনেন, তাহলে খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারবেন না। পিসিবির উপদেষ্টাদের ক্রিকেট সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব আছে এবং তারা তাকে (নকভি) সঠিক ব্যাপারটি বোঝাতে পারবেন না। উপদেষ্টারা এই দায়িত্বের যোগ্য নন।’
সম্প্রতি পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। বিষয়টি মানতে পারছেন না আফ্রিদি, ‘আমরা ভারতের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছি, এমনকি খেলোয়াড়রা হুমকি পায় এমন কঠিন সময়েও। যাই হোক, আপনি যদি পাকিস্তানে আসতে না চান, আসার দরকার নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।