স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মায়োর হয়ে অভিষেকেই বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গোল করে দলকে এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট।
রোববার (২৭ আগস্ট) আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের প্রতিযোগিতায় জার্মিনালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সোল দে মায়ো। দলের জয়ে বাংলাদেশি মিডফিল্ডার ছাড়াও ১টি গোল করে অবদান রেখেছেন ফার্নান্দো ভালদেবেনিতো। জার্মিনালের হয়ে ১টি গোল শোধ করেছেন গ্যাব্রিয়েল নাজারেনো ওবরেদর।
বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। ডিয়েগো ম্যারাডোনা-লিওনেল মেসিদের দেশ আর্জেন্টিনার লিগে প্রথমবার খেলছে লাল সবুজের কোনো প্রতিনিধি। শুরুটাও করলেন জয় দিয়ে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে ভালদেবেনিতোর গোলে লিড পায় জামালরা। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে দখলে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে ছয় গজ দূরত্ব থেকে জোরালো শট নেন তিনি। বল গোলরক্ষকের বাধা পেয়ে আবার তার কাছে ফিরে আসে। এবার আর লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি তিনি। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সোল দে মায়ো।
৭৮ মিনিটে কর্নার নেয়ার সময় ডি-বক্সে সোল দে মায়োর এক ফুটবলারকে ফাউল করে বসে জার্মিনালের ডিফেন্ডাররা। রেফারির বাঁশিতে সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে পেনাল্টির সুর। স্পটকিক নিতে আসেন জামাল। বাংলাদেশ অধিনায়কের ডান পায়ের জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি জার্মিনালের গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সো দে মায়ো।
ম্যাচের শেষদিকে গোলরক্ষকের ভুলে ১টি গোল হজম করে জামালরা। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে গোলরক্ষকের নেয়া কিক চলে যায় প্রতিপক্ষের অরক্ষিত খেলোয়াড়ের কাছে। রক্ষণ ছেড়ে সোল দের খেলোয়াড়রা তখন অনেকটা বাইরে। জার্মিনালের খেলোয়াড় সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল নিয়ে একাই ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন, ততক্ষণে দৌড়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সোল দের ডিফেন্ডাররা। গোলবারের সামনে সতীর্থের পাস দখলে নিয়ে বল জালে জড়ান ওবরেদোর। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।
জামালকে সমর্থন দিতে ম্যাচটিতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে স্টেডিয়ামে হাজির হন আর্জেন্টিনায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। তারা ‘স্বাগতম জামাল’ লেখা ব্যানার হাতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়েছিল স্টেডিয়ামের পাশে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সোল দে মাইয়োর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন জামাল। নিজের ফেসবুক পেজে এদিন রাতে এক লাইভেই চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারেন এ মিডফিল্ডার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেললেও জামালের জন্ম ডেনমার্কে। তার বাব-মা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেনিশ নাগরিক হওয়ার লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পান জামাল। তিনি ডেনমার্কের শীর্ষ ক্লাব এফসি কোপেনহেগেনের যুবদলে খেলার পর দেশটির চতুর্থ শীর্ষ লিগের বেশ কয়েকটি ক্লাবে সিনিয়র পর্যায়ে খেলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।