জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন শ্বশুর। সেই টাকা না দিলে প্রতিবন্ধী মেয়েকে দিয়ে আরও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তজুমদ্দিনের শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সম্ভুপুর গ্রামের মফিজুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা সিদ্দিক মিয়া ও মা রহিমা খাতুন।
জামাতা মফিজুর রহমান বলেন, লালমোহন উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ মিয়ার মেয়ে এবং আপন ফুফাতো বোন বাকপ্রতিবন্ধী তানিয়া বেগমকে ২০০৩ সালে বিয়ে করেন মফিজুর। তাদের সংসারে দুজন মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর ঢাকায় বেসরকারি চাকরির শুরু করেন মফিজুর। তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতেন।
এক সময় মফিজুরের শ্বশুর ইউসুফ মিয়া তার আদম পাচারের ব্যবসার সহযোগী একই এলাকার সিরাজের সঙ্গে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এর সূত্র ধরে ২০১৪ সালে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ব্যবহার করে সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মফিজুরকে স্বাক্ষী করা হয়। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি জামাতা। মামলা নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় মফিজুরের। একপর্যায়ে বাকপ্রতিবন্ধী স্ত্রী ও শ্বশুর মিলে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে।
জামাতা মফিজুর বলেন, ‘ওই মামলার ভয়ে আমি দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া। এসব মামলায় জামিন হওয়ার পর থেকে শ্বশুর আমার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। টাকা না দিলে আবারও মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে মফিজের শ্বশুর ইউসুফ মিয়া কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
মফিজের বাবা সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘আমরা আত্মীয় হওয়ায় এসব ঝামেলার পর একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে তারা বারবার মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।