লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাতের কাছে মেলে এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে সহজেই বানিয়ে নেওয়া যায় এই স্মুদি। এটা কোলনকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান কোলনের নানা রোগ, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
উপকরণ
আনারস ১টি
কমলা ২টি
শসা ১টি
আপেল ১টি
লেবু ১টি
অ্যালোভেরা জেল ১ টেবিল চামচ
পানি ২ গ্লাস (প্রায় ৫০০ মিলি)
প্রণালি
• আনারস খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করে কেটে নিন
• কমলার খোসা ছাড়িয়ে নিন
• আপেল টুকরা টুকরা করে কেটে নিন। আপনি চাইলে আপেলের খোসা ছাড়াতেও পারেন। তবে খোসা রেখে দিলে অতিরিক্ত ফাইবার পাওয়া যায়
• খোসাসহ শসা ধুয়ে স্লাইস করে নিন
• লেবু থেকে রস ছেঁকে নিন
কাটা আনারস, কমলার কোয়া, আপেল ও শসার টুকরা ব্লেন্ডারে দিয়ে তাজা লেবুর রস আর অ্যালোভেরা জেল দিন। এবার এর সঙ্গে দুই গ্লাস পানি যোগ করে ব্লেন্ডের পর স্মুদি বানিয়ে নিন।
সেবনবিধি
স্মুদি ৪ গ্লাস পরিমাণ হবে। তারপর সকালে খালি পেটে এই স্মুদি পান করুন আধা ঘণ্টা পরপর চার গ্লাস। যেদিন এই স্মুদি পান করবেন, সেদিন দুপুর পর্যন্ত স্মুদি ছাড়া অন্য কিছুই খাবেন না। দুপুরের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবেন। ভালো ফল চাইলে তিন দিন টানা খাবেন। তারপর সপ্তাহে এক দিন করে ১২ সপ্তাহ খাবেন। ডিটক্সিফায়িং ফলাফলের জন্য সকালে খালি পেটেই এই স্মুদি পান করতে হবে।
উপকারিতা
আনারস ও আপেলে আছে এনজাইম ও ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোলন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কমলা ও লেবুর উঁচু মাত্রার ভিটামিন সি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বিষাক্ত পদার্থগুলো পরিষ্কারের মাধ্যমে বের করতে সহায়তা করে। শসা শরীরকে আর্দ্র রাখে।
এতে থাকা সিলিকা স্বাস্থ্যকর ত্বক আর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের আস্তরণকে সজীব করে। অ্যালোভেরা জেলের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়িং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এই কোলন ক্লিনজিং স্মুদি কেবল কোলন পরিষ্কার করতেই সাহায্য করে না; বরং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর আপনার দিনের একটি সতেজ ও পুষ্টিকর শুরুর জন্য মাঝেমধ্যে খেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।