লাইফস্টাইল ডেস্ক : জুস পছন্দ না এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া ভার। কমবেশি সবাই জুস খেতে পছন্দ করেন। তবে জানেন কি এমন কিছু জুস আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ফলের জুসের সবচেয়ে নেতিবাচক দিক হলো জুস করার পর এতে আর আঁশ থাকে না। বেশির ভাগ ফলে প্রাকৃতিকভাবে আঁশ থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই ফলের জুসের বিকল্পে ফল খাওয়া ভালো।
এ ছাড়া ফলের ভেতরে যে নরম শাঁস থাকে সেটি জুস করলে পাওয়া যায় না। যেমন- কমলা। কমলার কোয়াতে সাদা রঙের একধরনের পাল্প থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্লেবোনয়েড, এটি রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান। তবে যখন কমলা দিয়ে জুস করা হয় তখন সেই উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। চলুন জেনে নেই কোন কোন ফল ও সবজির জুস আমাদের উপকারের চেয়ে অপকার বেশি করে-
আনারস
ভিটামিন ও ফাইবারে ভরপুর আনারস। ফল হিসেবে যখন আনারস খাওয়া হয় তখন এর সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ আমরা পাই। তবে যখন এর জুস করা হয় তখন তা আমাদের শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। জুস তৈরি করার পর আনারসে চিনি ছাড়া কিছুই থাকে না। যা আপনার রক্তে চিনি এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আপেল
আপেলের বীজে রয়েছে অ্যামিগডালিন নামক এক রাসায়নিক উপাদান। যা হজম হলে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই আপেলের জুস বানানোর আগে বীজ ফেলে দিতে হবে। এছাড়া দোকানে বানানো আপেলের জুস খাওয়ার আগে সবার সচেতন থাকা উচিত।
নাশপাতি
নাশপাতির জুস খুবই সুস্বাদু। তবে যাদের ফ্রুকটোজ হজমে সমস্যা তাদের জন্য এ জুস ক্ষতিকর। নাশপাতিতে সর্বিটল নামের এক ধরনের চিনি থাকে যা হজম হয় না। এটি গ্যাস, বাওয়েল মুভমেন্টে জটিলতা ও অ্যাবডোমিনাল পেইন তৈরি করে।
লেবু ও কমলার খোসা
অনেকেই লেবু ও কমলার খোসাসহ জুস তৈরি করেন। এসব খোসা থেকে তৈরি জুস হজমের সমস্যা তৈরি করে।
৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতার পদ স্থগিত
ব্রোকলিভিটামিনে ভরপুর সবজি ব্রোকলি। অনেকেই এটি সবজি হিসেবে খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর ভিটামিন পাওয়ার জন্য জুস হিসেবে খাওয়া চেষ্টা করে থাকে। তবে ব্রোকলি জুস হিসেবে ভালো নয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রোকলি জুস হিসেবে খেলে হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা অথবা খিঁচুনির মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়া আগে থেকে পেটের কোনো সমস্যা থাকলে ব্রোকলির জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একই কারণে এ জাতীয় অন্যান্য সবজি (যেমন-ফুলকপি ও বাঁধাকপি) জুস হিসেবে উপযোগী নয়।
শাক
গাঢ় সবুজ শাক যেমন পুঁইশাক কিংবা পালংশাক প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া প্রচুর অক্সালেটও থাকে। অক্সালেটের পরিমাণ বেশি হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের এসব জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।