Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home যেসব কারণে ইসলামে সব ধরনের মাদকদ্রব্য হারাম
ইসলাম ধর্ম

যেসব কারণে ইসলামে সব ধরনের মাদকদ্রব্য হারাম

Mynul Islam NadimDecember 8, 20244 Mins Read
Advertisement

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাদক সমাজ ও সভ্যতাকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মাদক ও নেশাদ্রব্য জাতির যুবশক্তি ও আর্থিক সামর্থ্য ধ্বংস করে। মাদকাসক্তি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসসহ বহু অপরাধের জন্ম দেয়, যা মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। ইসলাম সব ধরনের মাদক ও নেশাদ্রব্য হারাম করেছে।
madok

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদ হারাম।’(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫৫৮৬)

মাদকের ভয়াবহতা

মাদকের পার্থিব ও অপার্থিব ক্ষতির পরিমাণ অনেক। যেমন—

১. সব অকল্যাণের চাবি : মাদক নানা ধরনের অকল্যাণ ও মন্দের দুয়ার খুলে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মদ পান কোরো না। কেননা তা সব অকল্যাণের চাবিকাঠি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৭১)

২. অশ্লীলতার উৎস : মাদক মানুষকে বিভিন্ন প্রকার অশ্লীল কাজে প্রলুব্ধ করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা তা অশ্লীল কাজের মূল।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫৬৬৭)

৩. জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়া : মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তি জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সর্বদা মদ পানকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৭৬)

৪. অভিশাপ্ত হওয়ার কারণ : মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অভিশাপ রয়েছে। মদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে এমন ১০ শ্রেণির লোকের প্রতি রাসুল (সা.) অভিশাপ করেছেন : ১. যে লোক মদের নির্যাস বের করে, ২. প্রস্তুতকারক, ৩. মদপানকারী, ৪. যে পান করায়, ৫. মদের আমদানিকারক, ৬. যার জন্য আমদানি করা হয়, ৭. বিক্রেতা, ৮. ক্রেতা, ৯. সরবরাহকারী, ১০. এর লভ্যাংশ ভোগকারী। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ২৭৭)

মদ নিষিদ্ধের ক্রমধারা
জাহেলি যুগে আরবরা মদ পানের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলে।

তাদের মাদকতার আসক্তির কোনো সীমা ছিল না। তাদের ভাষায় মদের প্রায় ১০০টি নাম রাখা হয়েছিল।
তাদের কাব্য ও কবিতায় মদের বিভিন্ন প্রকারের উল্লেখ আছে। ইসলাম তাদের সুনির্দিষ্ট ও সুস্থ পথে পরিচালিত করে। এ জন্য মদ পান নিষিদ্ধ করার জন্য ক্রমিক নীতি অবলম্বিত হয়েছে। ইসলাম প্রথমে মদের মন্দ দিকগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরেছে। মদের অপকারিতা ও পাপ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন! এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২১৯)

দ্বিতীয় পর্যায়ে নামাজের সময় মদ পান হারাম করা হয়। আল্লাহ নির্দেশ দেন—‘হে মুমিনরা! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাকো, তখন নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৩)

চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে মদ পুরোপুরি হারাম করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্যনির্ধারক শরগুলো শয়তানের কাজ ছাড়া কিছু নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাকো, যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে তোমাদের বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন কি নিবৃত্ত হবে?’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯০-৯১)

সাহাবিদের ভেতরে মদ নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া

রাসুল (সা.)-এর ঘোষক যখন মদিনার অলিগলিতে প্রচার করতে লাগল যে মদ পান হারাম করা হয়েছে, তখন যার হাতে মদের যে পাত্র ছিল, তা তারা সেখানেই ফেলে দিয়েছিল। যার কাছে মদের কলস বা মটকা ছিল, তা ঘর থেকে তত্ক্ষণাৎ বের করে ভেঙে ফেলেছিল। আনাস (রা.) এক মজলিসে মদ পরিবেশন করছিলেন। আবু তালহা, আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ, উবাই বিন কাব, সুহাইল (রা.) প্রমুখ নেতৃস্থানীয় সাহাবিরা সে মজলিসে উপস্থিত ছিলেন। প্রচারকের ঘোষণা কানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সবাই সমস্বরে বলে উঠলেন, এবার সব মদ ফেলে দাও। এর পেয়ালা, মটকা, হাঁড়ি ভেঙে ফেল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৬৬২; সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৭১২)

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি মার্কেটে অগ্নিকান্ড, চার দোকান ভস্মীভূত

মাদকের প্রসার কিয়ামতের নিদর্শন

কিয়ামতের আগে মাদক এমন বিস্তার লাভ করবে যে মাদক সেবনকারী সাব্যস্ত করাকে অপরাধ মনে করবে না। আনাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে ‘কিয়ামতের আলামতগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলম উঠে যাবে, মূর্খতা, ব্যভিচার ও মদ পান বেড়ে যাবে। পুরুষের সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। এমনকি ৫০ জন নারীর পরিচালক হবে একজন পুরুষ।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮৪)
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
ইসলাম ইসলামে কারণে ধরনের ধর্ম মাদকদ্রব্য যেসব যেসব কারণে ইসলামে সব ধরনের মাদকদ্রব্য হারাম সব হারাম
Related Posts
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

December 20, 2025
গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

December 20, 2025
জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

December 19, 2025
Latest News
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

জুমা

জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ঋণ মুক্তির দোয়া

ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন?

তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

রিজিক

হাদিসের আলোকে রিজিক বৃদ্ধি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কী—আলেমদের মতামত ও কোরআন-হাদিসের দলিল

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.