ধর্ম ডেস্ক : ঈসা (আ.) ছিলেন বনি ইসরাঈলের সর্বশেষ নবী ও তার উপর নাজিল হয় ইনজিল কিতাব। যা আসমানি প্রসিদ্ধ চার কিতাবের মধ্যে একটি। তার পর থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব পর্যন্ত আর কোনো নবী আগমন করেননি। হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম আগের সব নবী ও আসমানি কিতাবের সত্যায়নকারী এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের সুসংবাদ দান করেন। মুসলিমরা অন্য সব নবীর মতো তাকেও সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন।
দুই হাজারেরও বেশি বছর আগে আল্লাহর কুদরতে পৈতৃক সম্পর্ক ছাড়াই কুমারী মায়ের গর্ভে জন্মলাভ করেন ঈসা আলাইহিস সালাম। তার জন্মদিন নিয়ে অনেককে উচ্ছ্বাস, আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। কিন্তু এই নবী আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে যেই আসমানী বার্তা ও শিক্ষা নিয়ে এসেছেন, যেই মানবতার বাণী শুনিয়েছেন, এর প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
এবার উদযাপনে মত্ত ঐ উদাসিন মুসলিমদের প্রতি আসমানী শিক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মস্থান ফিলিস্তিন। পশ্চিমা দুনিয়াসহ বিশ্বজুড়ে যখন ঈসা (আ.)-এর জন্মোৎসবের নামে উৎসবের জোয়ার বইছে, ঠিক তখন তার জন্মস্থান ফিলিস্তিনে শিশুদের ওপর চলছে ইতিহাসের বর্বরতম নারকীয় হামলা। তাদের দিন কাটছে মহা-আতঙ্কে। প্রতিদিনই পিতামাতা হারিয়ে এতিম হচ্ছে সেখানকার শিশুরা।
যে নবী শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন, তার পবিত্র জন্মভূমি এখন লাশের নগরী। ঈসা আ. এর পবিত্র শৈশব কাটল যে ভূমিতে, সেই ভূমির এই দুঃসময়ে লাগামহীন উৎসবে মেতে ওঠা তার উম্মতের দাবিদারদের জন্য কীভাবে শোভনীয় হতে পারে!
ঈসা আ. এর জন্মের প্রতি তখনই প্রকৃত সম্মান জানানো হবে, যখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে।
যে নবী শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন, তার পবিত্র জন্মভূমি এখন লাশের নগরী। ঈসা আ.-কে ভালোবাসার দাবিদার যে কারোরই এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে বেদনাহত হওয়ার কথা। অথচ বেদনাহত হওয়ার দৃশ্য খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।