ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় বৃদ্ধ ফকিরকে ধরে জোর করে চুল-দাড়ি কেটে দেওয়ার আলোচিত ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার বিকালে ভুক্তভোগী হালিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে মো. শহিদ মিয়া আকন্দ তারাকান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে চুল কেটে দেওয়া ব্যক্তিসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যারা চুল কেটেছিল, তারা মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটর। থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বাউল ফকিরের মতো দেখতে এক ব্যক্তিকে ধরে তিনজন লোককে জোর করে চুল কেটে দিতে দেখা যায়। বয়স্ক মানুষটি অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে বলেন, ‘আল্লাহ, তুই দেহিস।’ হেনস্তার শিকার ওই ব্যক্তির নাম হালিম উদ্দিন আকন্দ (৭০)। তিনি তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হালিম ফকির হিসেবেই চেনেন।
‘হিউম্যান সার্ভিস বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন ওই চুল কাটার কাজটি করেছিল। সংগঠনের সদস্যরা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে এসে ওই কাজ করেন। সংগঠনটির প্রধান ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন আশরাফীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়। পুলিশ বিকালেই আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।
মামলার বাদী শহিদ মিয়া আকন্দ গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, আমরা আগে কিছুই করতে পারিনি। দেশের অনেক মানুষ যেহেতু এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আইন তাদের বিচার করুক।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।