স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে গতকাল খুলনার মাঠে নামে টাইগার যুবারা। ব্যাটিংয়ে মোটামুটি সফলতা পেলেও বোলিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে আরহার আমিনের দল। যার ফলে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়া যুবারা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সফরকারীরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুর দিকে খুব একটা ভালো করতে পারেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করা যুব ক্রিকেটাররা। মাত্র ৮ রান নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার আদিল। তবে আরেক ওপেনার রিজওয়ান ততক্ষণে সেট হয়ে বাংলাদেশের হাল ধরেন শক্ত হাতে। এক প্রান্তে একে একে উইকেট হারাতে থাকলেও তিনি অবস্থান শক্ত করে ক্রিজে অবস্থান করেন। তিনি মাঠে থাকাকালে ৬ রানে আউট হন নাঈম আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম, ১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক আরহার আমিন। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়েন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। তিনি আউট হন ৫ চারের সমন্বয়ে ২৯ রানের ইনিংস খেলে। তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ফের শুরু হয় ধারাবাহিক উইকেটপতন। তবে মাহফুজুর রহমান রাব্বী এসে সেই ধারাবাহিকতা থামান।
রিজওয়ান-রাব্বী জুটি বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ান ২টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন এবং রাব্বী খেলেন ৩ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ৭৪ রানের ইনিংস। দুই ব্যাটারের বড় ইনিংসের উপর ভর করে ২৪১ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তোলেন ট্রিস্টান লুস এবং ২টি উইকেট শিকার করেন সিফো পটস্যান। বাকিদের মধ্যে জুয়ান জেমস, অভিভার হোয়াইটহেড ও রোমানসন পিলে তুলেন ১টি করে উইকেট।
টাইগার যুবাদের দেয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লুয়ান দ্রে প্রেটোরিয়াস এবং থিবি গ্যাজিড। প্রেটোরিয়াস খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস এবং গ্যাজিড খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। দুই ওপেনারের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের উপর ভর করে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দল। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন শিহাব জেমস। তার বলে আউট হন গ্যাজিড। এরপর আরেক ওপেনারকে শিকার করেন আরিফুল ইসলাম। তারপরও প্রোটিয়া যুবাদের থামাতে পারেনি আরহার আমিনের দল। কেন না, তিনে ও চারে নামা ব্যাটাররাও দুর্দান্ত গতিতে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করছিলেন।
এই বয়সেই তার জনপ্রিয়তা কোনো সুপারস্টারের থেকে কম নয়, পারিশ্রমিক ১ কোটি
তাদের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন জেমস, ৩০ রানের ইনিংস খেলেন ড্যাভিড টিগার। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।