লাইফস্টাইল ডেস্ক : কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর প্রচলিত নাম আলুই। ভারতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জন্মায় এই গাছ। ভেষজী গুণাবলীর জন্য অনেক স্থানে একে ‘চিরতার ঔষধ’ও বলা হয়। প্রথমসারির সব আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এই পাতার গুণকীর্তন গাইতে থাকেন।
তাদের কথায়, এই পাতা হলো মহৌষধের সমান। কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু অত্যন্ত উপকারী প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড, যা একাধিক ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক রোগবিরেতের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। হার্টও রাখে সুস্থ-সবল।
এই পাতার সমস্ত গুণ পেতে চাইলে প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটি কচি কালমেঘ পাতা ভালো করে ধুয়ে তার রস বানিয়ে নিন। এরপর এক কাপ পানিতে সেই রস মিশিয়ে চোখ-কান বন্ধ করে খেয়ে নিতে হবে। ব্যস, তাহলেই কেল্লাফতে। অনায়াসে ছোট-বড় অসুখকে বাগে আনতে পারবেন।
তাই আর দেরি না করে ঝটপট কালমেঘ পাতার রসের একাধিক চমকে দেওয়া উপকার সম্পর্কে জেনে নিয়ে এটিকে ডায়েট চার্টে জায়গা করে দিন।
ডায়াবেটিসে মহৌষধ
ডায়াবেটিস একটি প্রাণঘাতী অসুখ। এই রোগকে ঠিকমতো বশে না রাখতে পারলে কমবে আয়ু। তবে ভালো খবর হলো, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিকের মতো কাজ করে কালমেঘ পাতার রস। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই পাতার রসে চুমুক দিন। এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
সর্দি-কাশি কাছে ঘেঁষবে না
কালমেঘ পাতায় রয়েছে একাধিক উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভানয়েডস, যা ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এই পাতার ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতাও রয়েছে।
তাই নিয়মিত এর রস করে খেলে যে অনায়াসে সর্দি, কাশির মতো ছুটকো সমস্যার ফাঁদ কাটিয়ে সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য! অতএব আর দেরি না করে এই পাতার রসকে দ্রুত সম্ভব ডায়েটে জায়গা করে দিন।
পেটের সমস্যা নিপাত যাবে
নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা অন্য কোনো পেটের সমস্যায় ভুগতে হয় নাকি? তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কালমেঘের জুসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। কারণ এই পাতায় রয়েছে হজমে সাহায্যকারী কিছু উপাদান, যা ক্রনিক গ্যাস, অ্যসিডিটির প্রকোপ থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। বিশেষত, আইবিএস এবং আইবিডির মতো পেটের রোগে এই রস অত্যন্ত কার্যকরী। তাই এসব রোগে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত কালমেঘ পাতার রস পান করুন।
লিভারের বন্ধু
শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া থেকে শুরু করে হজমে সাহায্য করাসহ একাধিক জরুরি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। তাই যেনতেন প্রকারেণ লিভারের স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে হবে।
এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কালমেঘ পাতার রস। এই রসে রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং হেপাটোপ্রোটেকটিভ উপাদান, যা যকৃতকে সুস্থ-সবল রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব এই পানীয়কে ডায়েটে জায়গা করে দিন।
ডিটক্স ড্রিংকস
আজেবাজে খাবারের সঙ্গে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান। এবার যত দ্রুত সম্ভব এসব উপাদানগুলোকে দেহের বাইরে বের করে দিতে হবে। নইলে যে ঝক্কির শেষ থাকবে না।
এই কাজে আপনাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারে কালমেঘ পাতার রস। তাই ডিটক্স ড্রিংক হিসাবে এই রসকে ডায়েটে জায়গা করে দিতেই পারেন। তাহলেই একাধিক রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে পারবেন। জীবন হবে সুস্থ-সুন্দর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।