জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই আরেক দফা বাড়ল আটার দাম। প্যাকেটজাত আটার দুই কেজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৮ থেকে ১১৭ টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে প্রতি কেজি আটা কিনতে ক্রেতাদের আগের তুলনায় ৭ থেকে ৮ টাকা বেশি গুনতে হবে।
শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর স্থানীয় বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানেই আগে সরবরাহ করা আটা রয়ে গেছে। এসব আটার দুই কেজি ওজনের প্যাকেটের দাম ৯২ থেকে ৯৮ টাকার মধ্যে। কিন্তু কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকটি কোম্পানির নতুন দামের আটা এরই মধ্যেই বাজারে এসে গেছে। তাছাড়া কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্ডার নেওয়ার সময়ও বাড়তি দামের কথা বলে যাচ্ছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, পূর্ব নাখালপাড়া ও সেগুনবাগিচা এলাকার দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এসব দোকানে এখনো আগের নির্ধারিত মূল্যের আটা রয়েছে। কোম্পানিভেদে প্যাকেটজাত ২ কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৮ টাকার মধ্যে। তবে কোম্পানির লোকজন জানিয়ে গেছে, পরবর্তী চালানে তাদেরও কিনতে হবে বাড়তি দামের আটা।
নাখালপাড়ার মুনসেফা স্টোরের দোকানি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, কয়েকদিন আগে যে আটা নিয়েছিলাম, সেগুলোই এখনো দোকানে আছে। ২ কেজির প্যাকেটের দাম কোম্পানিভেদে ৯২ থেকে ৯৬ টাকা। তবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুইটি কোম্পানি আটার নতুন অর্ডার নিয়ে গেছে। নতুন অর্ডারে ২ কেজির প্যাকেটের দাম ১১০ টাকার মতো হবে বলে জানিয়ে গেছে।
সেগুনবাগিচা এলাকায় তীর কোম্পানির আটা সরবরাহ করে থাকে সামি এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় কর্মকর্তা রাজীব বলেন, আটার দাম বাড়ছে। ২ কেজির আটার প্যাকেটের নতুন দাম ১১০ টাকা। নতুন দামের আটা আমার এলাকায় এখনো পাইনি। তবে কমলাপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নতুন দামের আটা এরই মধ্যে বাজারজাত করা হয়েছে। আমাদের এখানেও পরবর্তী অর্ডারে ১১০ টাকা দামের ২ কেজি আটার প্যাকেট সরবরাহ করা হবে।
এদিকে, অনলাইন শপ চালডাল ডটকমেও শুক্রবার সকালে আটার দাম বাড়তি দেখা গেছে। এই ই-কমার্স সাইটে তীর ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের ২ কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সমপরিমাণ স্বাদ ব্র্যান্ডের আটার দাম দেখাচ্ছে ১১৭ টাকা।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য গমের দাম বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ভারত গম রফতানি বন্ধ ঘোষণা করলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ভারত সরকারের ঘোষণায় অবশ্য বলা ছিল, নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় গম রফতানিতে তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগেই যারা গম কেনার জন্য চুক্তি করেছে, তারা সেই চুক্তি অনুযায়ী গম পাবে। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সরকার খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গম আমদানি করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছিল।
জানা গেছে, দেশে বছরে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ টনের মতো। বাকি ৬৫ লাখ টন গমই আমদানি করতে হয়। প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হওয়ায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ভারতের গম রফতানির নিষেধাজ্ঞায় দফায় দফায় খোলা আটা ও প্যাকেটজাত আটার দাম বাড়ছেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।