সহজলভ্য এই ৫ খাবার সুস্থ্য রাখবে আপনার কিডনিকে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনার কিডনি হয়তো সবার নজরে নাও আসতে পারে, কিন্তু তারা আপনার শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ চুপিচুপি করে। তরল ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বর্জ্য পরিশোধন থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা পর্যন্ত, এই শিমের আকৃতির অঙ্গগুলি আসল নায়ক। এবং পর্যাপ্ত জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে আপনি যা খান তা তাদের খুশি রাখতেও বিশাল ভূমিকা পালন করে। ভাগ্যক্রমে, বাড়ির রান্নাঘরে এমন খাবার থাকে যা কেবল স্বাদের চেয়েও বেশি কিছু করে – এগুলি স্বাভাবিকভাবেই কিডনির স্বাস্থ্যকেও সমর্থন করে। শীতল শাকসবজি থেকে শুরু করে পুষ্টিকর শস্য পর্যন্ত, এখানে কিছু দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকা দেওয়া হল যা কোমল, নিরাময়কারী এবং কিডনি-বান্ধব।

লাউ
লাউ নামেও পরিচিত, লাউ শীতল, হাইড্রেটিং এবং হজম করা খুবই সহজ। এটি মূলত জল, যা এটি বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার এবং আপনার কিডনির উপর চাপ কমানোর জন্য দুর্দান্ত করে তোলে। এটি হালকা সবজিতে রান্না করুন, স্যুপে মিশিয়ে নিন, এমনকি রস হিসেবে উপভোগ করুন – এটি একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি যার জন্য আপনার কিডনি আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।

লাল ভাত
এই মাটির, বাদামের ভাত ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। নিয়মিত সাদা ভাতের বিপরীতে, লাল ভাতের গ্লাইসেমিক সূচক কম এবং এটি শরীরের জন্য সহজ। এটি হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কিডনির উপর চাপ কমিয়ে আপনাকে শক্তি এবং পূর্ণতা প্রদান করে।

ধনিয়া
শুধুমাত্র একটি সাজসজ্জার জিনিস নয়, ধনেপাতা—বিশেষ করে এর পাতা এবং বীজ—এর শক্তিশালী পরিষ্কারক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ধনেপাতা জল প্রায়শই কিডনির কার্যকারিতা সমর্থন করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে ঘরোয়া প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে এবং প্রাকৃতিক, মৃদু উপায়ে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ
এই সোনালী মশলাটি তার প্রদাহ-বিরোধী ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। রান্নায় এক চিমটি কেবল রঙ এবং উষ্ণতাই যোগ করে না বরং কিডনি সহ শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। ডাল, সবজি এবং এমনকি উষ্ণ দুধে নিয়মিত ব্যবহার আপনার সিস্টেমের জন্য শান্ত কিন্তু স্থিতিশীল সহায়তা প্রদান করতে পারে।

আপেল
মিষ্টি, মুচমুচে এবং প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম কম, আপেল কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য একটি দুর্দান্ত ফল। এগুলি কোলেস্টেরল কমাতে, ফোলাভাব কমাতে এবং হজমে সহায়তা করে—যা সবই আপনার কিডনিকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি কাঁচা আপেল খাওয়া বা সালাদে কয়েকটি টুকরো যোগ করা একটি বড় পার্থক্য আনতে পারে।