জুমবাংলা ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পুরোনো বায়ুদূষণকারী বাস তুলে স্ক্র্যাপ করা হবে। কিছু মানুষের স্বার্থে ঢাকার সব বাসিন্দাকে বায়ুদূষণের শিকার হতে দেওয়া যাবে না। বাস মালিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিকে এক মাসের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না করলে বিআরটিএ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভার পর সাংবাদিক ব্রিফিংকালে তারা এসব কথা বলেন। সভার বিষয় ছিল— সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনা, যানজট নিরসন এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ।
রিজওয়ানা হাসান জানান, বায়ুদূষণ রোধে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্স ঢাকার রাস্তার ধুলা নিয়ন্ত্রণ, ভাঙা রাস্তা মেরামত এবং আইন প্রয়োগে কাজ করবে। ধুলা, কালো ধোঁয়া, ইটভাটা এবং কলকারখানার দূষণ কমাতে কাজ করা হবে। এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আশুলিয়াকে ইটভাটামুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হতে পারে। এয়ার পিউরিফায়ারের কর কমাতে এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। তবে আইন প্রয়োগে মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের ফাওজুল কবির খান বলেন, আজ যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়া, পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দূষণ কমাতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় আমরা সভার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে কয়েকটি সিদ্ধান্তে এসেছি। প্রথম সিদ্ধান্ত- বিআরটিএ সম্পর্কে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিআরটিএ -কে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে মধ্যে যদি তারা তাদের অবস্থার উন্নতি করতে না পারে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিআরটিএ’র যেহেতু ব্যবস্থাপনা অপর্যাপ্ত সেহেতু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- যানবাহনের ফিটনেস এবং লাইসেন্সের বিষয়ে অন্যান্য গ্যারেজ, ড্রাইভিং স্কুল, পুলিশ বা অন্য কারও সহায়তা নিয়ে এই কাজগুলো দ্রুত করার।
তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টর থেকে একটি ভালো পরামর্শ এসেছে। স্কুলগুলোর জন্য স্কুল বাসের ব্যবস্থা করা। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবো। কারণ, একজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি গাড়ি যায়। তাই একটি নিরাপদ স্কুল বাস সার্ভিস করার জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে স্কুলগুলোকে বলবো।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, মে মাসের মধ্যে ২০ বছরের বেশি পুরোনো যানবাহনগুলোকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে। এটা আমরা বাস্তবায়ন করবো। এজন্য বাসমালিকরা যদি কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তা চান, আমরা সেটি ব্যাংকের মাধ্যমে করার চেষ্টা করবো। আর ঢাকা শহরে যারা বাস চলান, তাদের জন্য আমরা অধিকতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো এবং একটি বিশেষ লাইসেন্স দেবো।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকরা, বাস মালিক সমিতির নেতারাসহ সংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।