লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রাত্যহিক জীবনে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসায় জড়িয়ে যাই আমরা। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি খুব খারাপ আছি? বাকি সবাই খুব ভালো-এমন মনোভাব তৈরি হতে পারে। এমনকি ভালোবাসার মানুষকে কিছু কথা বলতে চেয়েও বলা হচ্ছে না, উল্টো সমস্যায় পড়ছেন। তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি যে সম্পর্কে আছেন, সেখানে আপনার অবস্থান খুব ভালো নেই।
তবে আপনার এই নেতিবাচক মনোভাবের জন্য পরোক্ষভাবে আপনার বন্ধু যেমন দায়ী, একইভাবে কিছু দোষ অবশ্যই আপনারও আছে। আপনার শরীর ও মন বিষিয়ে গেছে। দ্রুত এই সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে আপনি কাজকর্মে উদ্যোম হারাবেন। তাই যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি ‘বিষাক্ত’ সম্পর্কে আছেন-
সঙ্গীই যদি ঠিক করেন আপনার দৈনন্দিন রুটিন
আপনি প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর কী কী কাজ করবেন তা যদি আপনার সঙ্গী ঠিক করে থাকেন তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব জীবন রয়েছে। সেখানে কারোর হস্তক্ষেপই গ্রহণযোগ্য নয়।
কোনো কাজে উৎসাহ না দেওয়া
আপনি নতুন কোনো কাজের কথা বললে অপর পক্ষ যদি বলে থাক, কী হবে এসব করে-সেই সম্পর্ক থেকে আগেই বেরিয়ে আসুন। যেকোনো সম্পর্কে থাকা মানেই একে অপরকে উৎসাহ দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মান না করা
সবার সামনেই আপনাকে নিয়ে মজা করে, আপনাকে অপমান করে এরকম বন্ধুর থেকে দূরে থাকুন। হতেই পারে কোনো কিছুতে আপনার দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্যে সেসব বলা মোটেই ভালো কথা নয়। দুজনের সম্মান রক্ষার দায় দুজনের। সেখানে অনধিকার চর্চা বা অপমান কোনোটাই ভালো দেখায় না। একে অপরের প্রতি সম্মান যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি।
জোর করে শা রী রিক সম্পর্ক
আপনি হয়তো সঙ্গীর সঙ্গে স্বচ্ছন্দ্য নন, কিন্তু তিনি সবসময় আপনাকে শারীরিক সম্পর্কে চাপাচাপি করেন। জোর করে পার্কে নিয়ে যান। আপনার ইচ্ছা না থাকলেও শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন-তাহলে সেখান থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, শুধু শরীর সর্বস্ব প্রেম কখনই হয় না।
সব কথা সহজে না জানাতে পারা
আপনাদের মধ্যে প্রেম আছে, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে মন খুলে কথাই বলতে পারেন না। দ্বিধা থাকে, একে অপরের কাছে লুকিয়ে যান। মিথ্যে কথা বলতে হয়। যেকোনো সম্পর্কে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াই আসল। সত্যিকে লুকিয়ে রাখার কারণে দুজনের মনেই বিরূপ প্রভাব পড়ে। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।