আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে চোখের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। রাতে দেখতে অসুবিধা হয় এবং দৃষ্টিহানির ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া, আলোতে অস্বস্তি বা চোখে শুষ্কতা অনুভব করা হতে পারে ভিটামিন ঘাটতির স্পষ্ট লক্ষণ। আর এ রকম দেখা দিলে বুঝতে হবে ভিটামিনের অভাব রয়েছে। আপনার প্রয়োজন ভিটামিন ‘এ’। আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান অঙ্গগুলোর একটি চোখ। আর সেই চোখকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘এ’ হলো এক অপরিহার্য উপাদান। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিটামিন ‘এ’ চোখের রেটিনার কোষগুলোকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এটি চোখে আলো গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং কর্নিয়া ও কনজাংটিভার আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাবে চোখ শুকিয়ে যায়, জ্বালা করে এবং ধীরে ধীরে দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকে। সে জন্য ভিটামিন ‘এ’-এর বিকল্প নেই।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন এ ঘাটতি চলতে থাকলে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে স্থায়ী অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতোও ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারণে দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকা ঠিক নয়। চোখ যাতে শুষ্ক না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। আর সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘এ’ সাপ্লিমেন্ট খান।
ভিটামিন এ-এর ঘাটতির লক্ষণগুলো হচ্ছে— রাতে কিংবা অন্ধকারে স্পষ্ট দেখতে অসুবিধা।
সেই সঙ্গে চোখে শুষ্কতা বা চুলকানি। আবার দৃষ্টির ঝাপসাভাব কিংবা আলোতে অস্বস্তি। চোখের সাদা অংশে ধূসর দাগ। এবং ঘন ঘন চোখে সংক্রমণ হওয়া।
এ সমস্যার সমাধান যেভাবে করা উচিত। আপনাকে নিয়মে আসতে হবে। আপনার শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ করতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। সেসব খাবারই আপনার ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি পূরণ করে আপনার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখবেন—
প্রথমেই সবুজ শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। কারণ পালংশাক, মেথিশাক, কলমিশাক— এসব শাকে ভিটামিন ‘এ’ ছাড়াও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর এটি চোখের স্নায়ু রক্ষা করতে ভীষণ কার্যকরী। এ ছাড়া নিয়মিত গাজর খান। কারণ গাজরে আছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। প্রতিদিন এক বাটি গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
এ ছাড়া দুধ, ডিম ও মাছ নিয়মিত খান। কারণ দুধ, ডিমের কুসুম ও মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এগুলো চোখ ছাড়াও ত্বকের সমস্যা সমাধান এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
টাকা থাকবে ঝুঁকিমুক্ত, আজই ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করুন
আর মিষ্টি আলু ও কুমড়া খান সবসময়। এ সবজিগুলো উজ্জ্বল রঙের হওয়ার কারণেই এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।