বলিউড মেগাস্টার শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের অন্যতম রোমান্টিক এবং ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। ১৯৯৮ সালে মুক্তির পর যেটি বলিউডের প্রেমের সিনেমার চিত্রই বদলে দিয়েছিল। অথচ এমন একটি সিনেমা করার সময় নাকি খুবই বিরক্ত ছিলেন প্রধান চরিত্র রাহুল ওরফে শাহরুখ খান। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমার পরিচালক তথা শাহরুখ খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু করণ জোহর। এটিই ছিল পরিচালক হিসেবে করণের প্রথম সিনেমা। তবে শাহরুখের সঙ্গে প্রথম নয়। এর আগে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমায় শাহরুখের সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেন করণ।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোতে করণ জানান, শাহরুখ খান নাকি বেজায় বিরক্ত হতেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ে। কারণ, কিং খান নাকি একদমই রোমান্টিক হিরো হতে চাননি। তিনি বারবার রোমান্টিক হিরোর চরিত্র করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তাই তিনি অ্যাকশন হিরো হতে চাইতেন।
খোদ সিনেমার প্রযোজক আদিত্য চোপড়াও জানিয়েছিলেন যে, শাহরুখ খান বরাবর অ্যাকশন হিরো হতে চেয়েছিলেন। সেই একই কথা এবার শোনা গেল করণ জোহরের মুখেও। তার মতে, কিং খানের নাকি লাভ স্টোরি একদম চোখের বিষ।
‘বি এ ম্যান ইয়ার’ পডকাস্ট শোতে করণ জোহর বলেন, ‘শাহরুখ একদম লাভ স্টোরি পছন্দ করত না। ও খালি অ্যাকশন সিনেমা করতে চাইতো। ও তো আদিত্যকে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ করতে দেবেই না। তারপর আমি যখন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ করি তখনও খুব বিরক্ত হতো শুটিংয়ের সময়।’
করণ আরও বলেন, ‘এরপর যখন সিনেমাগুলো হিট করতে শুরু করে, তখন আর কিছু বলেনি। খালি বলেছিল, যদি এই লাভ স্টোরিগুলো চলে, তাহলে আমি করব।’
পরিচালক এদিন শাহরুখের প্রশংসা করে বলেন, ‘ওর ওই চোখ দিয়ে ও হাজারো যুদ্ধ জয় করতে পারে। ওর ওই চোখের জন্য পাগল অনেকে আগেও ছিল আগামীতেও থাকবে। সৃষ্টিকর্তার চোখ আছে ওর। কেউ সেগুলোর দিকে তাকালে দুর্বল হতে বাধ্য, তাতে তার উল্টো দিকে পুরুষ নারী যেই থাকুক না কেন।’
সম্প্রতি করণ জোহর বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর পূর্ণ করলেন। একই সঙ্গে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’রও ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কিছুদিন আগে মুক্তি পায় করণের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’। অন্যদিকে আগামীতে আসছে রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।