জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে ধরা পড়েছে মহাবিপন্ন প্রজাতির ১১০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। মাছটির দাম হাঁকা হয় ৪ লাখ টাকা। পরে মাছটি কেটে কেজি দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
রবিবার দুপুরের দিকে মৌলভীবাজার সদরের জেলা দায়রা জজ আদালতের সামনে বাঘাইড় মাছটির দেখা মেলে।
উমেদ মিয়া নামে এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটিকে কেটে কেজি দরে বিক্রি শুরু করেন।
তিনি জানান, ছয়জন মিলে রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে এক শিকারির কাছ থেকে মাছটি কিনেছেন। পানিতে ডুব দিয়ে ওই শিকারি মাঠটি ধরেন বলে জানান উমেদ মিয়া। পরে তারা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে আনেন। যদিও মাছটির দাম চাওয়া হয়েছিল ৪ লাখ টাকা।
বিশাল এ মাছটিকে কেটে কেজি দরে বিক্রি করছেন উমেদ ও তার শরিকরা। প্রতি কেজি বাঘাইড় মাছ তারা বিক্রি করছেন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে। এরইমধ্যে বিক্রি হয়ে যায় ৯০ কেজি। আরও প্রায় ১০-১২ কেজির মতো বিক্রির বাকি রয়েছে।
বিশালাকার বাঘাইড় দেখতে ভিড় জমান ক্রেতা ও উৎসুক জনতা। যারা মাছ কিনতে আগ্রহী নন, তারাও ছুটে আসছেন এক নজর বাঘাইড় মাছ দেখতে।
বন্যপ্রাণী রেঞ্জ মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সারোয়ার বলেন, আমরা অনেক দেরিতে জেনেছি। ততক্ষণে মাছটি বিক্রি হয়ে গেছে। আরো আগে খবর পেলে হয়ত সরেজমিন গিয়ে মাছটি বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্টদের জরিমানা করা সম্ভব হতো।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বাঘাইড় প্রজাতির এ মাছটি সংরক্ষিত। এ মাছটিকে কেউ কেউ ‘বাঘ মাছ’ বলেন। মাছটি ধরা, পাচার করা, হত্যা করা এবং খাওয়া আইনত দণ্ডনীয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) বাংলাদেশ কর্তৃক এই প্রজাতিটি ‘মহাবিপন্ন’ হিসেবে ‘লাল’ তালিকাভুক্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।