জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চার ইউনিয়নের পদ্মার চরে এখন আর চোখে পড়ে না পরিত্যক্ত বিরাণভূমি । এসব জমিতে আবহাওয়া উপযোগী এবং সীমিত উৎপাদন খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় উচ্চ ফলনশীল বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। যা ইতোমধ্যে ঘরে তুলার কাজ শুরু হয়েছে ।
অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও সল্প সময়ে বিকল্প এ ফসল চাষে লাভের মুখ দেখছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা। বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা এসব জমির কিছুটা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এসব সল্প সময়ের ফসলের দিকে ঝুঁকছেন তারা।
উন্নত প্রযুক্তি, ঋণসুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এখানকার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা এ অঞ্চলের কৃষকদের ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবার উপজেলার চার চরে (রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর ও মরিচা) ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেছে চাষিরা। গেল বছরের তুলনায় এরার ১০ হেক্টর জমিতে এচাষ বেড়েছে। চরের মাটিতে পাথর ও বালি বেশি থাকায় এ অঞ্চলে বাদাম চাষে ফলন ভাল হয়। তেমনি চাষিদেরও আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে ৫ থেকে ৬ মণ পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন সম্ভব হয়েছে এবছর । প্রতি মণ বাদামের পাইকারি দাম ৩ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা । স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ায় বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা। সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় অবশ্য হতাশার কথা জানিয়েছেন চাষিরা।
তারা দাবিকরে আরো বলেন, দেশিয় খাদ্য প্রস্তুতুকারী কারখানা গুলো আমাদের কাছ থেকে বাদাম সংগ্রহ করলে আমরা আরো বেশি লাভবান হবো।
এবিষয়ে কথা হয় ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার বাদাম চাষী রানা হোসেনের সাথে , তিনি এবার ২০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন যা থেকে তিনি এবার বাদাম পাবেন প্রায় ১২০ মণ। তবে এবারের বাদামের ফলন ভালো না হলেও ভালো দাম পাবার কথা জানান তিনি।
তিনি আরো জানন, তার মতো অনেক বড়ো বড়ো বাদাম চাষি আছে এ চরে তবে তারা সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান। এ ছাড়া তাদের এই বাদাম দেশিয় খাদ্য প্রস্তুতুকারী কারখানার কাছে সরাসরি বিক্রির বেবস্তাও চান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে।
আরেক চাষি ওদিদুল ইসলাম জানান, নদীতে বন্যার পানি আসার আগেই চরের সব বাদাম চাষিদের ঘরে চলে আসবে। আর স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ায় বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।
এবিষয়ে দৌলতপুর কৃষি অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, লাভবান হওয়ায় উপজেলার চার চরে এ বছর প্রায় ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারী সবধরনের সহায়তা করা হয় তাদের৷
তিনি আরো বলেন, চাষিরা যদি দেশিয় খাদ্য প্রস্তুতুকারী কারখানা গুলোর কাছে বাদাম বিক্রি করতে চাই আমাদের সাছে কথা বললে আমরা এবিষয়ে বেবস্তা নিবো ।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, আমি বেক্তি গত ভাবে কয়েকটি আইসক্রিম কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি চরের বাদাম নিয়ে তারা এখন দেশের বাইরে আছে। তাছাড়া চাষিরা যদি সরকারি কোন সহায়তা জন্য আসে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।