স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা আর লিওনেল মেসিকে নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই খেলতে চেয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গাল। সেটা করতে গিয়ে তিনি আর্জেন্টিনা আর মেসিকে নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন, যেটা মোটেই পছন্দ হয়নি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের।
তবে ম্যাচের আগে কিছুই বলেননি তারা। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পর মাঠে উদ্দাম উদ্যাপনে বুঝিয়ে দিয়েছেন সব।
ম্যাচের দিন স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্টোনির সঙ্গে তর্কাতর্কি করে হলুদ কার্ড দেখেছেন মেসি। ম্যাচ শেষে তাই রেফারির সমালোচনা করেন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা আরো বলেছিলেন, ফিফা তাকে ম্যাচের রেফারি করার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন তারা।
এই রেফারি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার যোগ্য কিনা সেটা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন মেসি। আর এখানেই তিনি নিয়ম ভেঙেছেন বলে দাবি করেছে ফিফা।
এরও আগে টাইব্রেকার শেষ হওয়ার পরপরই নিকোলাস ওতামেন্দি ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস হতাশায় ভেঙে পড়া ডাচ খেলোয়াড়দের সামনে যান। সেখানে তারা কানের কাছে হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে উদ্যাপন করেন জয়। পরে এটা গনসালো মনতিয়েল, মেসি, আনহেল দি মারিয়া আর অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারও করেছেন।
আর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ম্যাচ শেষে রেফারির সমালোচনা করে বলেছিলেন, মনে হচ্ছিল তিনি ডাচদের পক্ষে বাঁশি বাজানোর উপলক্ষ খুঁজছিলেন!
সব মিলিয়ে ম্যাচ শেষে ফিফা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাউকে কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। ফিফা থেকে জানানো হয়েছে, উদ্দাম উদ্যাপন সেন্সরের আওতায় আনা হবে না।
ফিফার বিবৃতির পর নিশ্চিত হওয়া গেল সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মার্কোস আকুনা এবং গনসালো মন্তিয়েল ছাড়া বাকি সবাই মাঠে নামতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।