স্পোর্টস ডেস্ক : দিনের শুরুটা ভালো হলে বাকিটা সময় এমনিতেই ভালো কাটে। এমন ভাবনা অধিকাংশ মানুষই পোষণ করেন। কিন্তু শুরুটা খারাপ হলে? মিরপুর শের-ই-বাংলায় সোমবার (২৩ মে) মুমিনুল হকদের দিনের শুরুটা দেখে অনেকেই অপেক্ষাই ছিলেন কখন অলআউট হবে তারা।
সব হিসেবে নিকেশ উলটে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস!হয়তো এমন কিছু কল্পনাও করেননি তারা, মুশফিক-লিটন করেছেন কী না তা হয়তো জানা যাবে পরে। দিনের দ্বিতীয় বল থেকে পতনের শুরু, একে একে ফেরেন প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যান।
হতভম্ব শের-ই-বাংলায় উপস্থিত দর্শক-গণমাধ্যমকর্মী হতে শুরু করে ক্রীড়া পাগল ভক্তরা। সামাজিকমাধ্যমে একের পর এক স্ট্যাটাস প্রসব হচ্ছে স্বাগতিকদের এ কেমন সকাল।ধ্বংসস্তুপ থেকে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন মুশফিক। যেন খাদের কিনারা থেকে ধীরে ধীরে নিয়ে যাচ্ছেন পাহাড়ের চুড়ায়।
সেই মুশফিক-লিটন গড়ে ফেললেন এক বিরল কীর্তি। ভেঙে ফেলেছেন বহু বছর আগের রেকর্ড। দশ বিশ ত্রিশ নয়, ৬৩ বছর আগের রেকর্ড।২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর মুশফিক-লিটনের জুটি শতরান পেরিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছে দেড়শও। টেস্ট ইতিহাসে কোনো দল ২৫ কিংবা এর কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সেরা জুটি এটি।
এর আগের সেরা ছিল শতরানের নিচে, ৮৬! ১৯৫৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৮৬ রান যোগ করেছিলেন এই দুজন পাকিস্তানের ওয়ালিস ম্যাথিয়াস ও সুজাউদ্দিনের। সেটিও হয়েছিল ঢাকার মাটিতেই।২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পথ ভোলা বাংলাদেশকে আলো দেখিয়েছেন এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
২০৫ বলে তাদের জুটির রান একশ ছাড়িয়েছে। দুজনে তুলে নেন ফিফটি। লিটন ৯৬ বলে আর মুশফিক ১১২ বলে দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির। জুটির দেড়শ পূর্ণ হয় ৩১০ বলে। চট্টগ্রাম টেস্টেও দুজন হাল ধরেছিলেন, গড়েছিলেন ১৬৪ রানের জুটি। মুশফিক সেঞ্চুরি করতে পারলেও লিটন থামেন ১২ রানের আক্ষেপ নিয়ে।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে ফিরিছিলেন জয়। তামিম ইকবাল ফেরেন পরের ওভারেই। দুজনে রানের খাতা খুলতে পারেননি। হাল ধরতে পারেননি মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দুজনে ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই। ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তাদের দেওয়া ক্ষতে প্রলেপ দিচ্ছেন যে মুশফিক-লিটন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।