বিনোদন ডেস্ক: একাধারে তিনি অভিনেত্রী, প্রযোজক। আজ কলকাতায় তো কাল বিদেশে। এনা সাহার দম ফেলার ফুরসৎ কোথায়! তবে ব্যস্ত রুটিনের ফাঁকেও জীবনের নানা বিশেষ মুহূর্ত অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম। কয়েক দিন আগেই জিমে কসরৎ করার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ৩০-এর অভিনেত্রী।
শরীরচর্চা নিয়ে এনার আগ্রহের কথা অনেকেরই জানা ছিল না। ফলত নানা প্রশ্ন ধেয়ে আসে অভিনেত্রীর দিকে। কেন হঠাৎ জিমমুখী হলেন এনা? নতুন কোনও কাজের জন্য? নাকি নেহাতই বডি শেমিং থেকে বাঁচার তাগিদ?
এনা জানান, মূলত শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেই জিমে যাওয়া শুরু করেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি দীর্ঘ দিন ধরে পিসিওডি-তে ভুগছি। এক সময়ে মানসিক অবসাদে ডুবেছিলাম। তখন নিজেকে ঠিক রাখার জন্য ওষুধও খেতে হয়েছে। মনে হল, এ বার নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া দরকার। এ ছাড়াও নতুন একটা কাজ এসেছে। তার জন্যও ওজন কিছুটা ঝরানো দরকার।”
লকডাউনের সময়ে সকলের মতোই ঘরবন্দি ছিলেন এনা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ছকে বাঁধা রুটিন এলোমেলো হয়ে যায়। তিনি বলেন, “সেই সময় শুধু ঘরে বসে থাকতাম। আর ইচ্ছামতো খাওয়াদাওয়া করতাম। তখন ওজন কমানোর তাগিদ অনুভব করিনি।”
কেরিয়ারের শুরু থেকেই চেহারা নিয়ে কটাক্ষ শুনেছেন এনা। ‘বডি শেমিং’ আর আলাদা করে ভাবায় না তাঁকে। ‘এসওএস কলকাতা’র প্রযোজকের বক্তব্য, “যখন রোগা ছিলাম, তখন সেটা নিয়ে কথা শুনতে হত। বলা হত, বাঙালি মেয়েদের এ রকম চেহারা মানায় না। এখন ওজন বেড়েছে বলে মানুষ হাতি, হস্তিনী বলছে। আমি মোটা থাকব না রোগা হব, সেটা সম্পূর্ণ আমার মুডের উপর নির্ভরশীল। কে কী বলল, তা নিয়ে ভাবি না।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।