মাকে কু..পিয়ে হ..ত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক

জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার শহরে ‘মাদকের সেবনের জন্য টাকা’ চেয়ে না পাওয়ায় মা’কে কুপিয়ে হত্যার পর পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে ঘাতক ছেলে। তবে পুলিশ বলছে কি কারনে এ ঘটনা ঘটেছে তারা তা খতিয়ে দেখছে।

শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলংজা পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।

নিহত আনোয়ারা বেগম (৫৫) একই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী।

গ্রেপ্তার যুবক হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮) নিহতের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে ইলিয়াছ খান বলেন, কিছুদিন আগে আবিদের বাবা একটি জায়গা বিক্রি করেন। সেই টাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়াজ আহমেদ স্ত্রীসহ চট্টগ্রামে বসবাসকারি এক মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে আবিদের মা আনোয়ারা বেগম কক্সবাজার ফিরেন। রাতে মায়ের কাছে আবিদ টাকা চায়। কিন্তু মা ছেলেকে টাকা দিতে অপারগতা জানায়। এ নিয়ে সে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে উশৃংখল আচরণ করে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাতে খাবার খেয়ে মা-ছেলে বাড়ীতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে ধারালো দা দিয়ে মা’কে কুপিয়ে খুন করে।

ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর ঘাতক আবিদ মায়ের শয়ন কক্ষের দরজায় বাহির বন্ধ করে দিয়ে থানায় যায়। পরে নিজ হাতে কুপিয়ে মা’কে হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে অবহিত করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। নিহত নারীর মুখ, হাত ও মাথার কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

ইলিয়াছ খান বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় নিহত নারীর শয়ন কক্ষের দরজা বাহির থেকে বন্ধ ছিল। পরে দরজা খুলে খাটের উপর শোয়া অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ধারালো দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।’

স্থানীয়রা জানিয়েছে, আবিদ প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মা’কে উৎপীড়ন করত। টাকা না দিলে সে ঘরে উশৃংখল আচরণ করত।

ওসি জানান, ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মাদকের সেবনের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মা’কে খুনের তথ্য পেয়েছেন। তারপরও ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ একজন মাদকাসক্ত ও উশৃংখল প্রকৃতির ছেলে। মাদক সেবনের টাকার জন্য সে বাড়ীতে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ করত। শুক্রবার গভীর রাতে মাদকের জন্য টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মা’কে কুপিয়ে খুন করেছে। নৃশংস এ ঘটনার জন্য ঘাতক ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

জঙ্গলের মাঝে সারি দিয়ে অদ্ভুত পাহাড়, এ যেন প্রকৃতির এক আজব খেলা

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি ইলিয়াস খান। সেই সাথে মাকে হত্যা করার আলামত সহ সবকিছু পুলিশ সংগ্রহ করেছে এবং বিশেষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।