জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটে ১৪ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ১০ হাজার একশ’ টাকায় বিক্রি করেছেন খোরশেদ বেপারী নামে এক জেলে। একই সঙ্গে ১৫ কেজি ওজনের একটি ব্রিগেড মাছ ৮ হাজার তিনশ’ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামলে তার জালে ধরা পড়ে বড় মাছ দুইটি।
মঙ্গলবার বিকালে মাছ হরিণা ঘাটের আড়তে নিয়ে আসেন খোরশেদ বেপারী ও জেলে মনির।
প্রথমে পাঙাশ মাছটি ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন হরিণা ঘাটের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ। পরে তিনি মাছটি আরেকজনের কাছে ১০ হাজার তিনশ’ টাকায় বিক্রি করেন।
জেলে খোরশেদ জানান, প্রথমে জালে ১৪ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছটি ধরা পড়ে। পরে আরেক দফায় মাছ ধরতে গেলে ১৫ কেজি ওজনের একটা ব্রিগেড মাছ ধরা পড়ে। মাছ দু্ইটি ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে মনে আনন্দ লাগছে খোরশেদ ও মনিরের।
তিনি জানান, নদীতে ইলিশের পাশাপাশি বড় বড় পাঙাশসহ নানা জাতের মাছ ধরা পড়ছে। হরিণা ফেরিঘাট আড়তে প্রতিদিনই ইলিশ, পাঙাশ, আইর, বাঘা আইর, পোয়া, চিংড়ী ও রিডা মাছসহ নানা প্রজাতির মাছ জেলেরা নিয়ে আসেন। তবে ১৪ কেজি ওজনের পাঙাশ ও ১৫ কেজি ওজনের ব্রিগেড মাছ কমই আসে।
দুবাই থেকে শিখে শুরু করেন জমি ছাড়াই চাষবাস, এখন বছরে আয় ৭০ লাখ টাকা
জেলে ও আড়তের মহাজনরা জানান, প্রচুর বৃষ্টি এবং নদীতে স্রোত থাকায় দক্ষিণের নদীগুলো ছাড়িয়ে বড় বড় পাঙাশ ও ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় ধরা পড়ছে। এছাড়া গত দেড় বছর অবাধে বালু কাটা এবং ড্রেজার মেশিন বন্ধ হওয়ার ফলে এসব মাছ অবাধে বিচরণ করছে। পাশাপাশি ইলিশ, পাঙাশ, বোয়াল, আইড় বড় হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।