তীব্র কিংবা মাঝারি ভূমিকম্পে তছনছ হবে রাজধানীর ৮৫ শতাংশ ভবন। মহাদুর্যোগের পর নগরে স্বাভাবিকতা ফিরতে সময় লাগবে বহু বছর। তাই কঠিন হলেও বিল্ডিং কোড মানার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
চারশ’ বছরের পুরোনা রাজধানীতে তৈরি হচ্ছে লাখ লাখ ভবন। এসব বাড়িঘর আর বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে বেশ ক’বার পরিবর্তন হয়েছে বিধিমালা। ১৯৫২ সালে তৈরি করা নিয়ম বদলে গেলেও শুধু বদলায়নি ঢাকা।
এর অন্যতম কারণ নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ। আর এসবের জন্য রাজউকের দুর্বল তদারকিকেই দায়ি করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “ঢাকার ৮৫ শতাংশ দালানকোঠা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলে পরে যে তীব্রতা অনুভূত হবে সেই তীব্রতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। গ্যাস-বিদ্যুৎ-ওয়াসার লাইন থেকে বড় ধরনের বিপদ সংঘটিত হতে পারে। নগরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে।”
অবশ্য রাজউক বলছে ভিন্ন কথা। প্রতিষ্ঠানের দাবি, নিয়ম পরিবর্তনের ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বেহাল অবস্থা। জিপিএস বসিয়ে পুরোনো পদ্ধতির আমূল সংস্কার করতে চায় তারা।
রাজউক প্রধান প্রকৌশলী উজ্বল মল্লিক বলেন, “নতুন নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অবকাঠামো খাত যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় সেজন্য জিপিএসের ব্যবস্থা নিতে হবে । গ্যাসের লাইন যদি চিহ্নিত করা না থাকে তবে ভূমিকম্প হলে উদ্ধার তৎপরতায় ভোগান্তি পেতে হবে। যেসব ইউটিলিউসগুলো আছে সেগুলো জিপিএস দিয়ে চিহ্নিত করে রাখতে হবে।” অনুমোদিত নকশার বাইরে তৈরি ভবনগুলো এখনই ভাঙার পক্ষে মত দেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।