নাগরিকত্ব আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার জন্য একটি বিল পাস করছে মালয়েশিয়ার সরকার। এর ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। এই বিল পাসের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত মালয়েশীয় মায়েদের সন্তানেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মালয়েশীয় নাগরিকত্ব পাবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) দেওয়ান রাকয়াত (সংসদে) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এ সংক্রান্ত বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এই বিলে ফেডারেল সংবিধানের দ্বিতীয় তফসিলের পার্ট ২ এর সেকশন ১(এ) তে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই সাংবিধানিক সংশোধনী কার্যকর করতে নাগরিকত্ব বিধিমালা ১৯৬৪ চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে এই বিধিমালা হালনাগাদ করা হবে বলে সাইফুদ্দিন জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক সংশোধনের পর, বিদেশি পুরুষকে বিবাহকারী মালয়েশীয় মায়েদের বিদেশে জন্মগ্রহণকারী সন্তানেরা এই সংশোধনী কার্যকর হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ইয়াং ডি-পেরতুয়ান আগং (রাজা) এর রাজকীয় সম্মতি।
সাইফুদ্দিন নাসুশেন জানান, বর্তমানে মায়েরা ফেডারেল সংবিধানের ১৫(২) অনুচ্ছেদের অধীনে তাদের সন্তানদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। ২০২৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই ধরনের ১ হাজার ৯৮০টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে এবং প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১০০টি নতুন আবেদন জমা পড়ছে।
নাগরিকত্ব বিধিমালা ১৯৬৪ হালনাগাদ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার ৫৭টি ধারা সংশোধন করছে এবং অনলাইন আবেদনের জন্য নতুন ফরম তৈরি করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই প্রক্রিয়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিকত্বের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা অপরিবর্তিত থাকবে। ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি একটি সহায়ক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার মায়েদের বিদেশে জন্মগ্রহণকারী সন্তানদের স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব প্রদানের আইনটি গত বছরের অক্টোবরে দেওয়ান রাকয়াতে পাস হয়েছিল।
তবে দেশটির নাগরিক সমাজ এই প্রস্তাবকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, এর ফলে দেশে রাষ্ট্রহীন মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে। অন্যদিকে, বিদেশে অবস্থানরত মালয়েশীয় মায়েদের সন্তানদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাবটি অনেক দিন ধরেই দাবি হয়ে আসছিল এবং এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।