জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটে ছয় বছরের শিশু সন্তান রেখে ভাগিনার হাত ধরে উধাও হয়েছেন মামি। হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের স্কুল ড্রেস কেনার কথা বলে ভাগিনার সঙ্গে পালিয়ে যান মামি। স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী আবদুল্লাহ।
জানা যায়, সেলিনা আক্তার পরকীয়ার টানে স্বামীর চাচাতো বোনের ছেলে সফিউল ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
সেলিনা আকতার (২৫) ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে। ভাগিনা সফিউল ইসলাম সফি (১৬) একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুলাল হোসেনের ছেলে। সে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আবদুল্লাহর দুলাভাই আনছার আলী বলেন, গত দুই বছর ধরে সেলিনা ও ভাগিনা শফির মন দেওয়া নেয়ার সম্পর্ক। এ নিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে। একমাস আগেও এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করা গেল না।
সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ৬ বছরের একটি মেয়েকে রেখে কীভাবে ভাগিনার হাত ধরে পালাল সেলিনা। যাওয়ার সময় সে আমার টাকা পয়সা সব নিয়ে গেছে, এখন আমি অসহায়। আমি কীভাবে মানুষকে মুখ দেখাব বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
২০১৫ সালে সেলিনা আকতারের সঙ্গে বিয়ে হয় আবদুল্লাহর। গত দুই বছর ধরে আবদুল্লার চাচাত বোন বুলবুলি বেগমের ছেলে শফিউল ইসলাম সফির সঙ্গে সেলিনা আকতারের পরকীয়া প্রেম চলছিল। সেই প্রেমের টানে বৃহস্পতিবার বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মামি ও ভাগিনার এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।