জুমবাংলা ডেস্ক : ভরা মৌসুমের শুরুতেই আমের যোগান কম থাকায় আম সংকটে পড়েছে আড়ত গুলো। কম আমদানি হলেও নেই আমের দাম। তাই আম নিযে বিপাকে পড়েছে আড়ৎদার ও বাগান চাষিরা। বুধবার (২২জুন) সকালে ঠাকুরগাঁও রোডের আমের একটি অস্থায়ী আড়তে গেলে এসব কথা জানান আম ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলাতে মোট ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে।
আম ব্যবসায়ীরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় সূর্যপুরী আম গত বছর প্রতি মণ বিক্রি করেছেন ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর তার অর্ধেক দামও নেই। বর্তমান বাজার মূল্য ৭৫০ টাকা মণ, এরপরও ক্রেতা পাওয়া যায় না। গত বছর এ সময়ে ট্রাকে ও পিকআপে করে আম আনতো বাগান চাষিরা। কিন্তু এখন ভরা মৌসুমেও আমের যোগান নেই। এ বছর দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে আমের গুণগত মান অনেক খারাপ হয়ে গেছে। তাই দামে অনেক পার্থক্য। এছাড়াও বাইরের ব্যবসায়ীরাও আসছেন না।
আম বাগান চাষিরা বলছেন, এবারের শিলাবৃষ্টির আঘাতে বাগানের এক তৃতীয়াংশ আম নষ্ট হয়ে গেছে। গাছে যে কয়েকটা আম ছিল তা দিয়েই ক্ষতি পুষিয়ে আসার প্রত্যাশা ছিলো কিন্তু তা আর হয়নি। আঘাত ও আবহাওয়ার কারণে আমের সাইজ ভালো হয়নি এবং দাগও রয়েছে। যার কারনে আমের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ৭০০ টাকা মণও বিক্রি হচ্ছে না সূর্যপুরী আম। আমরা এবার হতাশাগ্রস্থ।
ঠাকুরগাঁও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, এ বছর আমের মুকুল দেখে অনেক বেশি আমের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু মার্চের সময় অধিত তাপমাত্রার কারণে মুকুল জ্বলে গেছে।
তারপর জেলায় কয়েক দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে কিছু আম নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে বাজারে হয়তো যোগান কম। তবে যে পরিমাণ আম এখনো রয়েছে তা দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।