বিনোদন ডেস্ক : আমের নাম ঐশ্বরিয়া। হ্যাঁ, বানানো কিংবা নতুন কোনো ঘটনা নয় এটা। ১৯৯৪ সালে ঐশ্বরিয়া রাই বিশ্বসুন্দরী খেতাব জেতার পর ভারতের উত্তরপ্রদেশের মালিহাবাদ এলাকার বাসিন্দা ৮২ বছর বয়সী কলিম উল্লাহ খান কলিম উল্লাহ একটি আমের জাতের নাম রাখেন ঐশ্বরিয়া।
কলিম উল্লাহ তরুণ বয়সেই কলম বা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে আমের জাত নিয়ে প্রথম পরীক্ষা করে ভিন্ন জাতের আম উদ্ভাবন করেন। সে সময় তিনি একটি গাছ বড় করে সাত ধরনের নতুন আম উদ্ভাবন করেছিলেন। কিন্তু গাছটি ঝড়ে উপড়ে যায়।
এরপর ১৯৮৭ সালে শতবর্ষী একটি আমগাছ থেকে নমুনা নিয়ে আবার পরীক্ষা শুরু করেন তিনি। সেখান থেকে তিনি ৩০০ নতুন প্রজাতির আম উদ্ভাবনে সফল হন। তবে সব জাতের মধ্যে ‘ঐশ্বরিয়া’ জাতকেই এখন পর্যন্ত তিনি নিজের উদ্ভাবিত আমের মধ্যে সেরা উদ্ভাবন মনে করেন।
কলিম উল্লাহ বলেন, এই অভিনেত্রীর মতোই সুন্দর এ জাতের আম। একেকটি আমের ওজন এক কেজির বেশি হয়। খেতে খুব মিষ্টি এই আমের বাইরের ত্বকে লাল রঙের আভা হয়।
কলিম উল্লাহর উদ্ভাবিত আমের মধ্যে দুটি আমের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নামে। একটি আমের নামকরণ করেছেন আনারকলি। যেটির ভিন্ন ত্বকের দুটি স্তর রয়েছে এবং গন্ধও ভিন্ন।
আম উদ্ভাবনে তার এই দক্ষতার জন্য ব্যাপক প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ২০০৮ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান অর্জন একটি। মরুভূমিতেও আম জন্মাতে চান কলিম উল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।