জুমবাংলা ডেস্ক : একটি আমের ওজনই হয়ে থাকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ কেজি। আমটির নাম ব্রুনাই কিং। যা আষাঢ়ের পরে শ্রাবণ মাসের শেষদিকে পাকে। বেশি ওজনের পাশাপাশি এটি খেতেও সুস্বাদু। আমটি পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশেই। যোগাযোগ করতে পারেন আজই।
জানা যায়, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা আতিয়ার আতিয়ার রহমানের ভাগিনা ব্রুনাই থেকে ২০১১ সালে এ জাতের আম গাছের একটি ডাল নিয়ে এসেছিলেন। সেখান থেকে এ ব্রুনাই কিং আমের চারা গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে কলমের মাধ্যমে এ জাতের চারা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি চারা ৫০০ টাকায় বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার।
আমের বৈশিষ্ট্য
১. এ জাতের আম গাছের উচ্চতা ৮-১০ ফুট।
২. বৈশাখ-আষাঢ় মাসের মধ্যে এ জাতের চারা রোপণ করতে হয়।
৩. চারা রোপণের ২ বছরের মধ্যেই আম ধরে।
৪. শ্রাবণের শেষদিকে আম পাকে।
৫. প্রতিটি আমের ওজন সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি পর্যন্ত।
৬. প্রতিটি আম আঁশমুক্ত, মিষ্টি ও সুস্বাদু।
৭. দেখতে অনেকটা কলার মতো লম্বা হয়ে থাকে।
৮. কাঁচা আম খেতে কিছুটা টক, মিষ্টি স্বাদ।
৯. কাঁচা আমের রং হয়ে থাকে কালচে সবুজ।
১০. পাকা আমের স্বাদ অনেকটা ফজলি আমের মতো।
১১. আমের আঁটি (বিচি) একদম ছোট।
১২. মাতৃগাছে প্রতিবছর ২০-৩০টি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে।
প্রাপ্তিস্থান : মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রে হর্টিকালচার সেন্টারে চারা কিনতে পাওয়া যাবে। সেখানে কলম লাগানো গাছ আছে, যা থেকে সংক্রায়নের মাধ্যমে নতুন চারা তৈরি করে তা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেলার উপজেলা কৃষি অফিস, সিরাজদিখানে যোগাযোগ করলে এ জাতের আমের চারা পাওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।