জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতে আদানির বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে আগামী মার্চ থেকে। তবে এর আগেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির নামে আদানির অতিরিক্ত অর্থ হাতানোর কারসাজি ধরা পড়ল। গতকাল গণমাধ্যমে ‘বাংলাদেশের বিদ্যুতে আদানির কারসাজি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আমদানি শুরু হতে যাওয়া আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেশকিছু অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, অযাচিতভাবে কয়লার বেশি দাম নিতে চাইলেও, তা পুনর্মূল্যায়নে রাজি হয়েছে আদানি গ্রুপ।
বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন জানান, চলতি মাসের শেষে প্রতিষ্ঠানটির (আদানি গ্রুপ) কর্মকর্তারা চূড়ান্ত ফয়সালা করতে ঢাকায় আসছেন।
তিনি বলেন, বেশি দামে কয়লা বিদ্যুৎ কেনা হবে না। আদানির প্রতিনিধিরা নতুন করে আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে এ মাসের শেষের দিকে তারা আসতে পারেন। কয়লার দাম আদানি গ্রুপ বেশি দাবি করলেও তা যাচাই-বাছাই ছাড়া কাজ এগোনো হবে না।
সব ঠিক থাকলে মার্চেই ভারতের ঝাড়খন্ডে স্থাপিত আলোচিত শিল্প গ্রুপ আদানির প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ টানা ২৫ বছর ধরে কেনার কথা রয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি আমদানির ঋণপত্র খোলার তথ্য জানিয়ে প্রতি টন কয়লা ৪০০ ডলার করে দাম ধরে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে আদানি গ্রুপ। আর এতেই নড়েচড়ে বসেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডর কর্মকর্তারা। তাদের বিশ্লেষণ, আন্তর্জাতিক ইনডেক্স অনুযায়ী বেশি দামি কয়লায়, বিদ্যুতের দামও পড়বে বেশি। আর বিষয়টিকে আদানির অনিয়ম হিসেবেই পর্যালোচনা করছেন দেশের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
সম্প্রতি সরকারের এক হিসেবে দেখা গেছে, পায়রা ও রামপালে দুটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আমদানি করেই চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও বরিশালেও নির্মাণাধীন প্ল্যান্টে উচ্চমানের কয়লার দামও ধরা হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক। এর মধ্যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতি মণ কয়লা ২৪৫ ডলারে কেনা হয়। চট্টগ্রামে বাঁশখালি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লার মণপ্রতি ২৫৪ ডলার এবং বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ারের জন্য কয়লা কেনা হচ্ছে ২৭০ ডলারে। কিন্তু কয়লার ক্যালিরিফিক ভ্যালু বা গুণগত দিক থেকে কম মানের কয়লা দিয়ে বেশি দাম চাইছে আদানি।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসেল ইনডেক্স এবং ইন্দোনেশিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী কয়লার আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। কাজেই ইন্দোনেশিয়ার কয়লা কিনে অস্ট্রেলিয়ার দাম ধরার সুযোগ নেই বলেও দাবি পাওয়ার সেলের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।