আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বিয়ে হয়েছে ২০২২ সালে। দেশটিতে যতদিন ধরে বিয়ের রেকর্ড রাখা হয় ততদিনের মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে কমসংখ্যক যুগল বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। চীনা সংবাদমাধ্যম ইকারয়ের বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে চীনে তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার হার ক্রমে কমেছে। কমতে কমতে ২০২২ সালে তা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তবে অনেকে মনে করছেন, কোভিড-১৯ মহামারি থাকার কারণেও বিয়ে কম হয়ে থাকতে পারে।
২০২২ সালে চীনে মাত্র ৬৮ লাখ ৩০ যুগল বিয়ে করেছেন তথা বিয়ে নিবন্ধন করিয়েছেন। যা কিনা পূর্ববর্তী বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে ৮ লাখ কম।
গত কয়েক বছর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ থাকায় দেশটিতে বিয়ের হার কমে গেছে। পাশাপাশি দেশটিতে জন্মহারও কমেছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির জনসংখ্যাও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
২০২২ সালে বিগত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবার জনসংখ্যা কমেছে। এর ফলে দেশটির অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যা বিশ্ব অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। গত বছর চীনে শিশু জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ৬ দশমিক ৭৭ জন। যা এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি।
জনসংখ্যাবিদরা সতর্ক করে বলেছেন যে, চীন ধনী হওয়ার আগেই বুড়োদের দেশে পরিণত হবে। কারণ এর কর্মশক্তি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং এ কারণে দেশটির স্থানীয় সরকারকে তাদের বয়স্ক জনসংখ্যার জন্য আরও বেশি ব্যয় করতে হবে।
এদিকে তরুণদের মধ্যে বিয়ের উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়াতে চীন সরকার দেশটির ২০টি শহরে ‘নতুন যুগের’ বিয়ে ও সন্তান জন্মদান সংস্কৃতি নামে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে। যার আওতায় সদ্যবিবাহিত যুগলদের অতিরিক্ত বেতন ও ছুটি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।