জুমবাংলা ডেস্ক: মাগুরার মহম্মদপুরে মো. আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে বিয়ে করবেন তিন সন্তানের জননী। শুক্রবার গভীর রাতে সাবেক স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূর ঘর থেকে পরকীয়া প্রেমিককে হাতেনাতে আটক করেন এলাকাবাসী।
আশরাফুল মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঢুষরাইল গ্রামের আনিচ মোল্যার ছেলে। ওই গৃহবধূর বাড়ি পাশের গ্রামে। তার তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। তাদের একজনের বয়স ১৮ বছর, একজন ১০ বছরের, অপরজনের বয়স ৫ বছর।
মহম্মদপুর থানার এসআই মোক্তার হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূর বাড়িতে আশরাফুল দীর্ঘদিন ধরে গভীর রাতে গোপনে আসা-যাওয়া করে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ও গৃহবধূর স্বামীর স্বজনরা আশরাফুলকে একাধিকবার নিষেধ করেন। কিন্তু তাদের কোনো বাধাই আটকাতে পারে না। নিষেধ না মানায় স্থানীয় কয়েকজন ওতপেতে থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গৃহবধূর ঘর থেকে আশরাফুলকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে।
পরে স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে তারা দুজন বিয়ে করবেন বলে জানান। মেয়েদের কাছে জানতে চাইলে তারাও ওই যুবকের সঙ্গেই তার মায়ের বিয়ে হোক বলে জানায়।
পরে পুলিশ স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দিয়ে লিখিত নিয়ে যায়। তারা রবিবার কোর্টে গিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আমার তিনটি মেয়ে আছে। তার মধ্য বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ব্যস্ততা থাকায় ঢাকা থেকে বাড়িতে কম আসা পড়ে। আমার ছেলে না থাকায় আমার স্ত্রীকে আশরাফুল মা বলে ডাকতো। এজন্য আমি তাকে সন্দেহ করতাম না। এ সুযোগ নিয়ে আশরাফুল প্রায়ই আমার বাসায় এসে স্ত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিত। বিষয়টি এলাকাবাসী ভালো চোখে না নিলে আশরাফুলকে আমার বাসায় আসতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা অমান্য করে আমার বাড়িতে গভীর রাতে আসা যাওয়া করত।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে আমি স্ত্রীকে ফোন করেছিলাম পরে সে আমাকে বলেছে- আমি তোমার সংসার করব না।
মহম্মদপুর মাগুরা ওসি ইকরাম হোসেন বলেন, তারা দুজনই বিয়ে করবেন। তাদের স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। রবিবার কোর্টে গিয়ে তারা বিয়ে করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।