লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের আশপাশে থাকা অনেক গাছপালা, উদ্ভিদ বা তরুলতা নানা ঔষধি কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই এসব গাছের ব্যবহার জানেন না। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ঘরোয়া উপায়ে এসব গাছ-পাতার ব্যবহার জেনে নিন।
মেথি : যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে। টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকা রোগীদের জন্য এর পাতা দারুণ উপকারী। ইনসুলিনের কাজ ও শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ায়। লিভারে কোলেস্টেরল তৈরিতে কাজে আসে। হজমশক্তি বাড়ায়, ত্বক ভালো রাখে। এ ছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা বজায় রেখে ওজন কমায় মেথি শাক।
পেঁপে : এর পাতা স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। পেট ফুলে যাওয়া, হজম-সংক্রান্ত সব রোগের প্রতিরোধ করে। খুশকি ও চুল পড়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সব রোগীর পেঁপে পাতার রস খেতে বলা হয়। লিভার পরিষ্কার রাখে, আলসার দূর করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে পেঁপে পাতার রস।
শজনে : শজনে গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। ডায়ারিয়া, কলেরা, আমাশয়, কোলাইটিস এবং জন্ডিসের সময় ব্যাপক কার্যকর শজনে পাতা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে করে আগের থেকেও বেশি স্বাস্থ্যকর। লেবু থেকে সাতগুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে এতে। অন্ধত্ব সমস্যা দূর করতেও শজনে ডাঁটা ব্যাপক কার্যকর।
গাঁদাল পাতা : এটি লতানো গাছ। পাতাটি বিশ্রি গন্ধ হলেও এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। শরীরে আমদোষে খুবই উপকারী। দেহের কোনো অংশ পঙ্গু হয়ে গেলে গাঁদাল পাতা খেলে ও লাগালে ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চার হয়। এই পাতার রস খেলে পাকস্থলীর ময়লা দূর হয়, গ্যাস্ট্রিক ও পেটের ব্যথা উপশম হয়। অনিন্দ্রা দূর করে। এটি পেটের জন্য খুবই ভালো। অনেকের মতে, নিয়মিত এই পাতার রস খেলে পুরুষের বন্ধ্যত্ব দূর হয়।
বেতো শাক : এই শাক বায়ু, পিত্ত ও কফনাশক এবং অগ্নিবল বৃদ্ধিকারক। এটি ক্ষারধর্মী। এর মধ্যে কৃমিনাশক শক্তি রয়েছে। দেহে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে, হার্ট অ্যাটাক, আর্থ্রাইটিস ও ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। হেঁচকি বন্ধ করে। খাবারে অরুচি দূর করে। লিভার ভালো রাখে। আমাশয় ও ছোট ছোট কৃমি দূর করে।
নিম : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী নিম পাতা। চিকেন পক্স, অ্যালার্জি-জাতীয় সমস্যা, পোকা মাকড়ের কামড়ের ক্ষত সারতে হলুদের সঙ্গে এই পাতা বেশ কার্যকর। অনেকে এই পাতা ভেজে খান। দাঁতের ব্যথার জন্য নিমের ডালের রস ব্যবহার উপকারী। পানিতে ফুঁটিয়ে ব্যবহার করলে খুশকি থাকে না। নিয়মিত এই পাতা খেলে ক্ষত দ্রুত শুকায়, ক্লান্তি ও কাশি দূর হয়।
তুলসী : তুলসীর পাতা নানা ঔষধি গুণসম্পন্ন। সর্দিজনিত রোগে এই গাছটির পাতা মহৌষধ। তুলসী পাতা ফুটিয়ে গড়গড়া করলে গলাব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। মাথাব্যথা কমাতে তুলসীর চা অনেক কার্যকরী। পাতা ভেজে ঘি দিয়ে নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। মানসিক চাপ কমাতে বিভিন্ন দেশে এই পাতা ব্যবহার হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।