মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন ৫ উপায়ে

মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ

অনেক সময় আমরা আমাদের মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনা। যেকোনো কারণেই হোক আমাদের মেজাজ খারাপ হতেই পারে। আর এই মেজাজ খারাপ জন্য কিন্তু নির্দিষ্ট কোন সময় বা জায়গা নেই। ঘুম থেকে উঠে, খাবারের টেবিলে, বাসে বা অফিসে কাজ করতে গিয়ে অথবা কারো ফোন পেয়ে চট করেই এই মেজাজ গরম হয়ে যেতে পারে। তবে এই মেজাজ খারাপ নিয়ে কিন্তু সারা অতিবাহিত করলে চলবে না। সারা দিন যাতে করে আপনাকে এই মেজাজ খারাপ করে চলতে না হয়, আত জন্য ছোট ছোট কিছু পদ্ধতি অবলম্বনই যথেষ্ঠ। আর এই পদ্ধতিগুলো এক নিমেষেই আপনার মেজাজ ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের আজকের প্রতিবেদনের এই ৫ তালিকা আপনাকে সাহায্য করবে-

মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ১। যখন মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ থাকবে, তখন নিজের পছন্দের গান শুনুন। প্রথমে বিরক্ত লাগলেও পরে মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যাবে। গান এমনটা বিষয়, যা শুনলে আপনার মন ভালো না হয়ে কোনো উপায় নেই।

২। অনেকের মন খারাপ থাকলে মায়ের কাছে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে, তাহলে মেজাজ খারাপ হলে মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করুন। দেখবেন, এক নিমেষেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। শুধু মা নয়, বাবা, ভাই, বোন কিংবা বন্ধু যে কারও সঙ্গেই দেখা করতে পারেন। যার কাছে আপনি কথা বলে স্বস্তি অনুভব করেন, তার কাছেই যান। এমনকি আপনি আপনার পালিত কোনো প্রাণীর সঙ্গেও কিছুক্ষণ খেলা করতে পারেন। এতেও আপনার মেজাজ ঠান্ডা হবে।
৩। মেজাজ ঠান্ডা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো চকলেট খাওয়া। যখনই কারও ওপর রাগ করবেন কিংবা কোনো বিষয়ে মেজাজ খারাপ হবে, তখনই এক টুকরা চকলেট খেয়ে ফেলুন। দেখবেন, খুব সহজেই আপনার মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যাবে।

৪। পছন্দের পুরোনো কোনো বই পড়ুন, যা পড়ে ছোটবেলা আপনি অনেক আনন্দ পেয়েছিলেন। সেই বইটি খুঁজে বের করুন। এর প্রতিটি লাইন পড়ে আপনি পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে যাবেন। এই স্মৃতিগুলোই আপনার মেজাজ ঠান্ডা করে দিতে সাহায্য করবে।

৫। কারও জন্য ভালো কিছু করুন। দেখবেন, সব ধরনের রাগ, ক্ষোভ দূর হয়ে আপনি প্রশান্তি অনুভব করবেন। যখনই মেজাজ খারাপ হবে, তখনই পরিচিত বা অপরিচিত যেকোনো মানুষের কোনো একটা উপকার করুন। এতে মেজাজ একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

সূত্রঃ আইডিভা ওয়েবসাইট।

ভাত রান্নার ভুলে বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি