লাইফস্টাইল ডেস্ক : একদিন খাবারের অনিয়ম হলেই গ্যাস, অম্বলে ভোগেন অনেকেই। কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যাসিডিটির সমস্যা লেগেই থাকে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়ার ফলেই এসব সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে হজম ক্ষমতা দুর্বল হলেও বদহজম হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি ঘন ঘন গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে সাবধান হওয়া জরুরি।
যদিও পাকস্থলীর ক্যানসার নিয়ে মানুষ খুব বেশি সচেতন নন। কিন্তু হতেই পারে পেটে কর্কট রোগ বাসা বেঁধেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণগুলো সাধারণ গ্যাস, অম্বল ভেবে অনেকেই উপেক্ষা করে যান। এখানেই গণ্ডগোল বাঁধে। অবস্থার অবনতি ঘটে এবং রোগীর জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। হরমোনজনিত পার্থক্যের কারণে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক কম। মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন থাকে যা তাঁদের শরীরকে প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করে। এই হরমোনই মূলত মহিলাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তবে, পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণগুলো কখনওই উপেক্ষা করা উচিত নয়। গ্যাস, অম্বল হল এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়া হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া, হঠাৎ করে ওজন কমতে থাকা এবং খিদে কমে যাওয়াও পেটের ক্যানসারের লক্ষণ।
হজমনালীর উপরের অংশ পাকস্থলী খাবার হজমে সাহায্য করে এবং সেই খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে শরীরের অন্যান্য অংশে সঞ্চালন করে। হজমতন্ত্রের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে এখান থেকে পাকস্থলীর ক্যানসার জন্ম নেয়। এখান থেকে টিউমার গঠিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ওই টিউমার শনাক্ত করা যায়, তাহলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। অন্যথায় ওই টিউমার ধীরে ধীরে ক্যানসারে পরিণত হয়। তারপর সেই ক্যানসারের কোষ ধীরে ধীরে গলব্লাডার, প্যানক্রিয়াটিস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, পেরেটোরিয়াম বা পেটের পর্দা ইত্যাদি জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক্ষেত্রে রোগীর জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।