স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসির ডান হাতজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন নকশার ট্যাটু বা উল্কি। হাতের পাশাপাশি পায়ে, পেটে ও পিঠেও রয়েছে উল্কি। মেসির শরীরে সর্বমোট ১৭টি ট্যাটু রয়েছে বলে জানিয়েছে তার অফিশিয়াল প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড দ্য মেসি স্টোরের একটি নিউজ। একেকটি উল্কির ভেতর লুকিয়ে রয়েছে একেক ধরনের গল্প। মেসির উল্কি রহস্য উন্মোচন করতে চাইলে পড়তে হবে নিচের লেখা।
১। পদ্ম ফুল
পদ্ম ফুলকে বলা হয় নবজন্ম, বিশুদ্ধতা ও শক্তির প্রতীক। আর্জেন্টিনার ছোট্ট শহর রোজারিও’র বালক থেকে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হওয়া পর্যন্ত সফরকে স্মরণে রাখতে হাতে পদ্ম ফুলের উল্কি আঁকিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার।
২। মুকুট
মেসি ও তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো একই রকম মুকুটের উল্কি আঁকিয়েছেন তাদের ডান হাতে। তাদের ভালোবাসার প্রতীক এই ট্যাটু বলছে, এই গল্পে তারাই রাজা ও রানি।
৩। স্ত্রীর চোখ
মেসির ডান হাতের বাহুসন্ধির কাছাকাছি বড় একটি চোখ নজর কাড়বে। উল্কিটি তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর চোখের আদলে আঁকা।
৪। দ্য রোজ উইন্ডো
মেসির ডান হাতের কনুইয়ের হাড়ের কাছে গোলাকার একটি ট্যাটু রয়েছে। এটি রোজ উইন্ডো বা এক ধরনের জানালার আদলে আঁকা। এই ধরনের জানালা সাধারণত গির্জায় দেখা যায়। বার্সেলোনার সাগরাদা ফ্যামিলিয়া গির্জা থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া এই উল্কির।
৫। যিশুর মুখ
মেসির ডান হাতের একেবারে উপরের একটি বড় অংশ জুড়ে আঁকা রয়েছে যিশুখ্রিস্টের মুখাবয়ব। ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস ও ভালোবাসা প্রকাশ করতেই এঁকেছেন এই উল্কি।
৬। দৈত্যাকৃতির ঘড়ি
বিশাল বড় একটি ঘড়ি আঁকা রয়েছে মেসির ডান হাতে। মেসি মনে করেন তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি হচ্ছে সময়। তিনি সময়ের মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। বিশাল আকৃতির ঘড়িটি প্রতি মুহূর্তে মেসিকে সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করে।
৭। টেবিল ঘড়ি
দৈত্যাকার ঘড়ির ঠিক নীচে টাইমপিস বা টেবিল ঘড়ির আদলে একটি উল্কি রয়েছে। এগুলো বড় ঘড়ির অংশ হিসেবে সময়কে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়টুকুতে নৈতিকতা ও ভালোবাসা কতটুকু জরুরি- সেটা মনে করিয়ে দেয়।
৮। রোজারি
রোজারি বা জপমালার আদলে আঁকা উল্কি রয়েছে মেসির ডান হাতে। এই জপমালা সকল খারাপ নজর থেকে রক্ষা করে- এমন বিশ্বাসের পাশাপাশি নিজ শহর রোজারিওকে স্মরণে রাখতেই এই ট্যাটু করিয়েছেন লিও।
৯। মায়ের মুখাবয়ব
মেসির পিঠে রয়েছে তার মায়ের মুখাবয়ব আঁকা উল্কি। এটিই তার করা প্রথম ট্যাটু। মা সিলিয়া মারিয়াকে সম্মান ও ভালোবাসা জানাতেই নিজ শরীরে এঁকেছেন মায়ের মুখ।
১০। ছেলের হাতের ছাপ
প্রথম ছেলে থিয়াগো জন্ম নেওয়ার পর মেসি তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশে ছেলের হাতের ছাপ আঁকিয়ে নেন। প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দের প্রতীক হিসেবে উল্কিটি করেন তিনি।
১১। ছেলের নাম
ছেলের হাতের ছাপের ট্যাটু আঁকার পর অনেকে ভেবেছিল এটি ম্যারাডোনার হ্যান্ড অব গডকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। তাদের এই ভুল ধারণা ভাঙতে একটি হৃদয় আকৃতি নকশার ভেতর ছেলের নাম লিখে নিয়েছেন মেসি।
১২। জন্মতারিখ
মেসির ডান পায়ের নিচের অংশে রয়েছে স্ত্রী ও তিন সন্তানের জন্মতারিখ খোদাই করা ট্যাটু।
১৩। স্ত্রীর ঠোঁট
স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর ঠোঁটের আদলে উল্কি করিয়েছেন মেসি। উল্কিটি আঁকা হয়েছে বামদিকের তলপেটে।
১৪। ফুটবল ট্যাটু
পরিবারের পাশাপাশি মেসির জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফুটবল। তাই ফুটবলকে এঁকে নিয়েছেন শরীরের ক্যানভাসে। বাম পায়ের নিচের অংশ জুড়ে রয়েছে কালিতে আঁকা ফুটবল।
১৫। জার্সি নাম্বার
নিজ জার্সি নাম্বার ১০ এঁকেছেন একই পায়ে।
১৬। দ্বিতীয় সন্তানের নাম
যিশুর ছবির পাশেই লম্বালম্বি লেখা ‘মাতিও।’ এটি মেসির দ্বিতীয় সন্তানের নাম।
১৭। সাউথ আমেরিকা ট্যাটু
ডান হাতের বাহুতে সাউথ আমেরিকা ও ইউরোপের ট্যাটু করিয়েছেন লিও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।