স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের মধ্যকার সম্পর্কে কি চিড় ধরেছে? তাদের বন্ধুত্বের সুসম্পর্কের জায়গায় বাসা বেঁধেছে তিক্ততা? বাতাসে ভেসে বেড়ানো এসব নেতিবাচক গুঞ্জনগুলোর সুতোর এক টানে ছিঁড়ে ফেললেন মেসি।
আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ওলে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, এমবাপ্পের সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা নেই। তাদের সম্পর্কটা আগের মতোই মধুর। ঐ সাক্ষাৎকারে মেসি এটাও জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে এমবাপ্পের সঙ্গে আড্ডাও হয়েছে তার।
শুধু বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়েই নয়, বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি, বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনায় কাটানো সময়টা, উৎসব উদযাপন প্রাণবন্ত সেই আড্ডায় এমবাপ্পেকে সবকিছুই সবিস্তারে শুনিয়েছেন মেসি। এমবাপ্পেও একনিষ্ঠ শ্রোতা হয়ে শুনেছেন মেসির সেই রোমাঞ্চকর গল্প!
ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের আরেক নাম হয়ে গিয়েছিল মেসি-এমবাপ্পের যুদ্ধ। দুই ক্লাব সতীর্থের সেই ব্যক্তিগত দ্বৈরথে কিলিয়ান এমবাপ্পের জয় হলেও দলগতভাবে জয় হয়েছিল মেসির। এমবাপ্পের ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে মেসির আর্জেন্টিনা। তো বিশ্বকাপ জয়ের পর এমবাপ্পেকে নিয়ে নানাভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। মেসি নিজেও গোল উদযাপন করেন এমবাপ্পের সামনে গিয়ে। ঐ ঘটনার পর অনেকের মনেই সংশয় জাগে, মেসি ও এমবাপ্পের সম্পর্কে বুঝি তিক্ততার আঁচ লেগেছে। গুঞ্জনটা আরো বড় বিশ্বকাপের পর তারা ক্লাব পিএসজির হয়ে খেলতে শুরু করার পর।
মেসি-এমবাপ্পেরা ফিরলেও বিশ্বকাপের পর পিএসজির সময়টা ভালো যাচ্ছে না। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মধ্যে সেই রসায়নটাও দেখা যাচ্ছে না, যেমনটা দেখা গেছে বিশ্বকাপের ছুটির আগে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে প্রশ্ন ওঠে মেসি-এমবাপ্পের সম্পর্কের নিয়ে! এমনকি এমন গুঞ্জনও বাতাসে ভাসে, এমবাপ্পের কারণে মেসির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না পিএসজি!
কিন্তু মেসি বললেন, সেসবই ভুল! তাদের দুজনের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই, ‘বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে আমরা দুজনে কথা বলেছি। এমবাপ্পে নিজেই জানতে চেয়েছিল, আর্জেন্টিনায় আমরা কেমন উৎসব করেছি। তো বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব নিয়ে, আমি ছুটিতে থাকার সময় আর্জেন্টিনার মানুষ কীভাবে কাটিয়েছে-সবকিছু নিয়েই কথা বলেছি। সত্যি বলতে কিলিয়ানের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।