জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে মেট্রোরেল। সেই উন্নয়নের সমান্তরালে আরেক ইতিহাস লিখছেন দুই নারী। তাদের একজন মরিয়ম আফিজা। অন্যজন আসমা আক্তার। একজন মেট্রো রেলের প্রথম নারী চালক। আরেকজন প্রথম নারী স্টেশন অপারেটর। দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালানোর জন্য নিয়োগ পাওয়া এই দুজন এখন পুরোদমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাদের হাত ধরেই শুরু হবে মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
মেট্রোরেলের চালকের পদটির নাম ‘ট্রেন অপারেটর’। এই পদে ২৫ জনের সঙ্গে মরিয়ম আফিজা নিয়োগ পেয়েছেন। এমন কাজে যুক্ত হতে পরেও তিনি নিজেও অনেক খুশি। মরিয়ম আফিজা বলেন, মেট্রোরেল অনেকের মতো আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে ট্রেন চালাব- এটা ভেবে এখনই বেশ আনন্দ লাগছে। এখন মূল লক্ষ্য প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন। মরিয়ম আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে।
এদিকে, মেট্রোরেলে স্টেশন থেকে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন স্টেশন কন্ট্রোলার। এই পদে ৩৪ জনের সঙ্গে নিয়োগ পেয়েছেন আসমা আক্তার। ট্রেন অপারেটর কখনো কখনো স্টেশন কন্ট্রোলারের দায়িত্ব পালন করবেন।
আবার স্টেশন কন্ট্রোলার প্রয়োজন হলে ট্রেন চালাবেন। এমন দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখছেন রাজধানীর তিতুমীর কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক করা আসমা আক্তার। তার হাত দিয়েই এই চলাচল হবে নিরাপদ আর নির্বিঘ্ন।
আসমা আক্তার বলেন, পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে একটা চাকরি করব, শুধু এটা ভেবেই এখানে আসিনি। মেট্রোরেল ব্যবস্থার প্রতি একটা প্যাশনও কাজ করেছে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে মেট্রোরেলের খুঁটিনাটি সবই রপ্ত করার চেষ্টা করছি। আমার পদ স্টেশন কন্ট্রোলার হলেও ট্রেন চালাতে হতে পারে। এটা আসলেই একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার।
গেলো কয়েক বছর ধরেই নানা রকম পড়াশুনা আর দেশে বিদেশে কয়েক ধাপের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে নিজেদের চুড়ান্ত সময়ের জন্য প্রস্তুত করছেন দুই নারী। মরিয়ম ও আসমা ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের হালিশহরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনিং একাডেমিতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ঢাকায় ফিরে আরও চার মাস প্রশিক্ষণ নেন। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে কারিগরি ও প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
অল্পকিছু টাকার জন্য হোটেলকর্মীর সঙ্গেও রাত কাটান অঞ্জলি অরোরা!
এরপর তাঁরা দিল্লি মেট্রোরেল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেবেন। এখানে মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। প্রাথমিক ভাবে মেট্রোরেলের অপারেটর বা চালক হিসেবে কাজ করবেন কমপক্ষে ৯০ জনের একটি দল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকাবাসী মেট্রোরেলে চড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।