লাইফস্টাইল ডেস্ক : অতিরিক্ত গরম, প্রখর রোদের তাপ মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যাদের প্রতিদিন রোদে বেরোতে হচ্ছে তারা মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় বেশি ভুগছেন। সেই সঙ্গে গরমের কারণে ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া, পানিশূন্যতা আরও গুরুতর করে দেয় মাইগ্রেনের সমস্যাকে।
রোদ থেকে ফিরে একবার মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে সহজে কমে না। বরং চোখে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গা বমি ভাব—পরিস্থিতিকে আরও অসহনীয় করে তোলে। মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো কেন মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে সেই নির্দিষ্ট কারণটি খুঁজে বের করা। যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তা হলে মাইগ্রেন ডায়েরি মেনে চলুন। কোন দিনগুলোতে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, সে দিনগুলো তে কী খাচ্ছেন, বেশিক্ষণ রোদে থাকছেন কিনা সেগুলো খেয়াল রাখুন।
পানি পান করতে হবে: শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না। গ্রীষ্মের দিনে ঘামের সঙ্গে প্রচুর মাত্রায় পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাইরে বেরোলেই নিজের ব্যাগে পানির বোতল রাখতে ভুলবেন না। শরীর খারাপ লাগলেই ছায়ায় বসে অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
খাদ্যতালিকায় নজর রাখুন: খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যাদের মাইগ্রেন রয়েছে তাদের কফি, চকলেট, রেড ওয়াইন, ড্রাই ফ্রুটস, চিজ জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলা ভালো। এ গুলোর পরিবর্তে বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাবেন।
টুপি ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন: রোদ থেকে বাঁচতে টুপি ও সানগ্লাস অবশ্যই ব্যবহার করবেন। চোখে সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই সতর্কতা প্রয়োজন।
শীতাতপ যন্ত্রের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন: রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই গরমের অস্বস্তিবোধ কমাতে শীতাতপ যন্ত্রের তাপমাত্রা অত্যধিক মাত্রায় কমিয়ে রাখেন অনেকে, এই অভ্যাস কিন্তু মোটেও ভালো নয়। এসির তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে মধ্যেই রাখা ভালো। নইলে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।
ব্রেস্ট ক্যানসারের সার্জারির আগে তুমুল ড্যান্স দিয়ে ভাইরাল যুবতী
উপকারী তেল সঙ্গে রাখুন: ইউক্যালিপটাস অয়েল, মিন্ট অয়েল দিয়ে মাথায় মালিশ করলে মাইগ্রেনের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি আরও যে উপসর্গ থাকে, তাও কম হয়।
খালি পেটে থাকবেন না: খালি পেটে থাকলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। গরমের দিনে খুব বেশি খেতে ইচ্ছে না করলেও হালকা খাবার কিংবা ২/৪টা ফল সঙ্গে রাখুন।
চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত চিনি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে পারেন মাঝেমাঝে, তবে পরিমাণে কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।