জুমবাংলা ডেস্ক : দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। কুমিল্লার চকবাজারে ৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে পাইকারি দোকানিরা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
আজ বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লার চকবাজারের বিভিন্ন দোকানে মাইকিং করে ৮৫ টাকা দরে দেশি পেঁয়াজ মাইকিং করে বিক্রি শুরু করে দোকানিরা। একদিনের ব্যবধানে প্রায় ১০০ টাকা কেজিতে কম পাওয়ায় লাইন ধরে পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায় ক্রেতাদের।
দোকানিরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় কমছে পেঁয়াজের দাম। কোথাও কোনো সঙ্কট নেই। দু-একদিনের মধ্যে আরও কমে যাবে।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন জানান, আমার ঘোষণা দিয়েছিলাম ১০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করবো। নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম কমে গেছে। এখন কেউ অতিরিক্ত পেঁয়াজ কেনার প্রয়োজন নেই।
পাইকারি দোকানি বলেন, পেঁয়াজের দাম এক-দুইদিনের জন্য বেড়ে গিয়েছিল। ভারতে পেঁয়াজ বন্ধের ঘোষণায় যার লাগবে ১ কেজি সে কিনে নিয়ে গেছে ১ বস্তা। এতে পেঁয়াজের বাজারে আরও প্রভাব পড়েছে। আর এরই সুযোগ নিয়েছে কিছু অসাদু ব্যবসায়ী। এখন দেশি পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়েছে। আশা করি আর সমস্যা থাকবে না।
দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন বলেন, আমাদের দেশি পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। প্রতিদিনই ৫-১০ টাকা কমতে থাকবে। আমরা কুমিল্লার মানুষকে কথা দিয়েছিলাম কম দামে পেঁয়াজ খাওয়াবো। সেই কথা আমরা রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, যারা পেঁয়াজের দাম বাড়া নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে শনাক্ত করেছি। অবশ্যই আমরা তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনবো। আপনারা সবাই সচেতন থাকবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।