জুমবাংলা ডেস্ক : তিন দফা নিবন্ধনের সময় বাড়লেও মিলছে না আশানুরূপ হজযাত্রী। খরচ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় আর ডলার-রিয়ালের সংকটে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন লাখো হজযাত্রী। শেষ পর্যন্ত কোটা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন এজেন্সি মালিকরা।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার আর এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। অথচ সবশেষ তথ্য বলছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাত্র ৮ হাজার ৮৭৩ জন আর বেসকারিভাবে ৪৭ হাজার ২শ’ ১২ জন নিবন্ধিত হয়েছেন।
হাব’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী বলেন, “নিরপেক্ষ এভিয়েশন টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা যদি বিমান ভাড়াটা নির্ধারণ করা হতো তাহলে মানুষের অস্পষ্টতা থাকতো না।”
বিমান ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এবার হজ প্যাকেজের খরচ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, আর এবার তা হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।
এজেন্সি মালিকরা জানান, হজের বিষয়টায় বাংলাদেশ সরকার শুধু এয়ার টিকিটটাই দেখাশুনা করে। এর বাইরের খরচগুলো এটা কিন্তু সরকার নির্ধারণ করে না। গ্রামের হাজিরা বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট আয়ের লোক তাদের সাড়ে ৭ লাখ টাকা খরচ বহন করা অনেক কঠিন। এজন্য সাধারণ হাজিরা যেতে পারছেন না।
গত বছর হজে সরকারি প্যাকেজ ছিল দুটি। প্রথমটির ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬শ’ ৭৮ টাকা, আর দ্বিতীয়টিতে বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮শ’৬৮ টাকা। বেসরকারিভাবে হজ পালনে গতবারের তুলনায় খরচ বেড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮শ’৭৪ টাকা।
হজযাত্রীরা জানান, খরচটা যদি একটু কম থাকতো তাহলে আরও বেশি মানুষ হজে যেতে পারতো। সরকার চাইলে বিমানের খরচটা কমাতে পারে।
খরচের এমন বৃদ্ধিতে মিলছে না তাই কাঙ্ক্ষিত সাড়া। এরইমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২২ ফেব্রুয়ারি, পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও শেষ দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।