আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হীরা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পদার্থ। প্রকৃতিতে এটি খুঁজে পাওয়াও অনেক কঠিন। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ হীরার সন্ধানে পৃথিবীর গভীর থেকে গভীরতর খনন করে চলেছে। এজন্য রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট গর্ত তৈরি হয়েছে, যা মাটির নিচে ২ হাজার ফুটেরও বেশি।
বিপজ্জনক এই কাজের পরিস্থিতি ও অনুশীলন প্রকৃতি এবং মানুষের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। তবে আশার কথা হলো, খননই হীরার উৎসের একমাত্র উপায় নয়।
ইন্টারন্যাশনাল জেম সোসাইটি অনুসারে, ১৯৫০-এর দশকে প্রথম ল্যাব-গ্রোন হীরা (এলজিডি) উৎপাদিত হয়েছিল। এই প্রযুক্তিটি ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। পাশাপাশি ল্যাবের এ হীরা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী, যা উচ্চ মধ্যম আয়ের মানুষদেরও বহুল আকাঙ্ক্ষিত রত্নটি ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর কৃত্রিমভাবে হীরা তৈরির অর্থ হলো, আপনি মরুভূমিসহ যে কোনো অপ্রত্যাশিত জায়গায় হীরা উৎপাদন করতে পারেন।
হীরা আমদানি ও রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যদিও দেশটিতে কোনো হীরার খনি নেই। দেশটির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাবেগ মরুভূমিতে এলজিডি উৎপাদন শুরু করেছেন। ২০২২ সালে দুবাইভিত্তিক টু ডট ফোর ডায়মন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি।
সাবেগের মতে, রত্নটি প্রকৃতি বা ল্যাবে একই প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হয়। শুধু পার্থক্য হলো আমরা চাপ, তাপ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করি। আর খনি থেকে সংগ্রহ করা হীরার ক্ষেত্রে প্রকৃতিই এগুলো করছে। সিএনএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।