স্পোর্টস ডেস্ক : কাতারের পোশাক ফতোয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলেছেন তিনি। মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নল ঝড় তুলেছেন কাতারে। ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই গ্যালারিতে স্বল্পবসনা ললনাদের সারি। ফুটবলের এরকম রঙিন ছবি দেখেই অভ্যস্ত ফ্যানরা।
কিন্তু এবার বিশ্বযুদ্ধের আসর বসছে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ ফতোয়ার নাগপাশে জড়ানো। নিষেধের বেড়াজালে বাঁধা এখানকার সংস্কৃতি থেকে সমপ্রেম। পোশাক থেকে শুরু করে মদ্যপান! স্বাধীনতা শব্দটা এখানে বেমানান।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানা গিয়েছিল যে, কাতারের স্টেডিয়ামে বসে বিশ্বকাপ দেখতে গেলে দর্শকদের একাধিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ডেইলি স্টারের রিপোর্ট বলেছিল যে, ফ্যানদের খোলামেলা পোশাক একেবারেই নৈব নৈব চ।
শরীর প্রদর্শনকারী যে কোনও পোশাকই এখানে নিষিদ্ধ। কাতারি আইনে এমনটা করলে মহিলাদের যেতে হবে সোজা শ্রীঘরে! পুরুষরাও যদি টপলেস হয়ে যান, তাহলে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা। হতে পারে হাজতবাসও। স্লিভলেস ট্যাঙ্ক টপ যেমন পরা যাবে না, তেমনই আপত্তিকর
এসবই কি কথার কথা! অন্তত এমনটাই প্রমাণ করছেন প্রাক্তন মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নল। কাতারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লুকা মদরিচদের ফ্যান যেমন খুশি তেমন সাজছেন। ক্লিভেজকে কথা বলাচ্ছেন লুকা মদরিচদের ডাই-হার্ড ফ্যান। স্টেডিয়ামে লাস্যের আগুন জ্বালাচ্ছেন ইভানা।
গ্যালারিত খোলামেলা পোশাকে তোলাচ্ছেন ছবি, করাচ্ছেন ভিডিয়ো শুট। ঝড় তুলছে তাঁর এক একটি পোস্ট। ২০১৪, ২০১৮-র পর এবার ২০২২ বিশ্বকাপেও গ্যালারির চোখ টানছেন ফুটবলের অন্যতম হটেস্ট ফ্যান ইভানা।
‘পোশাকের ক্ষেত্রে কাতারের দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে। তবে ভ্রমণকারীদের (পুরুষ এবং মহিলা) থেকে এই প্রত্যাশাই থাকবে, তাঁরা যেন স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। অতিরিক্ত উন্মুক্ত পোশাক প্রকাশ্যে পরা থেকে বিরতই থাকবেন। পুরুষ এবং নারীরা নিশ্চিত করবেন যে, তাঁদের কাঁধ এবং হাঁটু যেন ঢাকা থাকে।
কাতারের সরকারি ভ্রমণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে এই বার্তা। ফিফা-র ওয়েবসাইটেও এই বিষয়ে নির্দেশিকা রয়েছে। কাতারের সুরে সুর মিলিয়েই বলা হয়েছে যে, কঠোর কাতারের আইনের সম্বন্ধে যেন সকলে ওয়াকিবহাল থাকেন।
ফ্যানরা মাঠে কী পোশাক পরে আসছেন, তা দেখবে কে? সেখানেও তো এক ধাপ এগিয়ে কাতার। ফ্যানদের ওপর নজরদারি করবে মুখ চিনে নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন উচ্চপ্রযুক্তির ক্যামেরা। এরকম মোট ১৫ হাজার ক্যামেরা বসানো হয়েছে আটটি স্টেডিয়ামে। ইভেন্টের মুখ্য টেকনোলজি অফিসার নিয়াস আবদুলরহমান এমনটাই জানিয়ে ছিলেন গত অগাস্টে। তবে ইভানাকে এখনও রোখা গেল না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।