জুমবাংলা ডেস্ক: খুলনার পাইকগাছায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম খরচে অধিক মুনাফায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটছে। ধানের চেয়ে ফলন বেশি ও ভালো দাম পাওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার গড়ইখালীতে প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে।
জানা যায়, ১ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করতে মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ৯০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। আর বর্তমান বাজারে মিষ্টি আলু মণ প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন অনেক বেশি, বাজারে দামও ভাল পাওয়ায় মুনাফা দ্বিগুণ হবে আশা করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় দেড় শতাধিক কৃষক ১৮ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ করেছেন। প্রতি হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু উৎপাদন হয় ২৪ মেট্রিক টন। আর প্রতি হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয় ৬.৫ বা ৬.৬ মেট্রিক টন। মিষ্টি আলুতে উৎপাদন খরচ অনেক কম। তুলনামূলক পরিশ্রম অনেক কম করতে হয়। তাছাড়া পোকা-মাকড়ের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর পরিত্যক্ত জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করলে ধানের চেয়ে তিনগুণ লাভ হয়।
তিনি আরও বলেন, অগ্রাহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে থেকে শুরু হয় মিষ্টি আলুর চারা বপন করা হয়। ফাল্গুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ব হয়। আর চৈত্র ও বৈশাখ মাস আলু তোলায় ব্যস্ত থাকেন চাষিরা। এখন মাঠ থেকে আলু তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। তাছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে দ্বিগুণ ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় কম খরচে অধিক মুনাফায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। পানি সমস্যার সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সূত্র: akkbd
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।