জুমবাংলা ডেস্ক : মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
মমতাজের আত্মগোপন: কোথায় ছিলেন এতদিন?
সরকার পরিবর্তনের প্রায় ১০ মাস পর মমতাজ বেগমের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে— এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন? কীভাবে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন এই সাবেক সংসদ সদস্য?
মমতাজের আপন ভাই এবারত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে টানা ৩ মাস সিংগাইরের চরদুর্গাপুর এলাকায় তাদের বাড়িতেই ছিলেন মমতাজ। এ সময় একদিনও তিনি ওই বাড়ির বাইরে বের হননি।
আত্মগোপনের কৌশল: সিসি ক্যামেরা, সীমিত যোগাযোগ, নিপার তত্ত্বাবধান
এবারত হোসেন বলেন,
“আমার স্ত্রী, সন্তান ছাড়া পাশের বাড়ির কেউ জানত না শিল্পী আপা এখানে আছেন। তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখতেন। কেউ প্রয়োজন হলে আমার মাধ্যমেই যোগাযোগ করতেন।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাড়ির চারপাশ ছিল সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত। কোনো আগন্তুক এলেই জানিয়ে দেওয়া হতো— বাড়িতে কেউ নেই। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বেশ আয়েশেই সময় কাটান মমতাজ।
এবারত হোসেন আরও জানান, মমতাজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নিপার মাধ্যমে তার নামে ধানমন্ডিতে একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়। এরপর এক মধ্যরাতে বোরকা পরে গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে, কালো গ্লাসের একটি মাইক্রোবাসে করে সরাসরি ঢাকায় চলে যান মমতাজ। পুরো বাসায় ওঠার প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করেন নিপা।
নিপার স্বামী বিদেশে থাকায়, মমতাজের যাবতীয় দেখাশোনা করতেন নিপা। আর আর্থিক সহায়তা দিতেন মমতাজের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস জুয়েল)।
থানা পুলিশের অবস্থান
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম জানান, তিনি মাত্র দুই মাস আগে এই থানায় যোগদান করেছেন। ফলে মমতাজের আত্মগোপনের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।