আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মিরের পিপলস ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহেবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, ‘যখনই যুবকরা কাজের কথা বলে, তারা সেটা পায় না। আমাদের ভালো শিক্ষা, ভালো হাসপাতাল নেই। তারা রাস্তার পরিস্থিতি ভালো করছে না। কিন্তু মন্দির খোঁজার জন্য তারা মসজিদ ভেঙে ফেলতে চাইছে। সম্ভলের ঘটনা খুব দুর্ভাগ্যজনক। কয়েকজন দোকানে কাজ করছিলেন। তাদের গুলি করা হলো।’
ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভল মসজিদ সমীক্ষার পরে পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সেই সংঘর্ষকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন মুফতি। তিনি বলেন, আজ আমার খুব ভয় লাগে। ১৯৪৭ সালে যে পরিস্থিতি ছিল আমরা হয়তো সেদিকেই এগোচ্ছি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, যখনই যুবকরা কাজের কথা বলে, তারা সেটা পায় না। আমাদের ভালো শিক্ষা, ভালো হাসপাতাল নেই। তারা রাস্তার পরিস্থিতি ভালো করছে না। কিন্তু মন্দির খোঁজার জন্য তারা মসজিদ ভেঙে ফেলতে চাইছে। সম্ভলের ঘটনা খুব দুর্ভাগ্যজনক। কয়েকজন দোকানে কাজ করছিলেন। তাদের গুলি করা হলো।
পিডিপি প্রধান জানিয়েছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়েছে। ভারতেও যদি সংখ্য়ালঘুদের উপর অত্যাচার হয়, তবে ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে ফারাক কোথায়? তিনি বলেন, আমি তো ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে কোনও ফারাক খুঁজে পাই না।
তিনি বলেন, আজমেঢ় শরিফ দরগা সেখানে সব ধর্মের মানুষ উপাসনা করেন। এটা ভ্রাতৃত্বের নজির। আর ওরা এখন মন্দিরের খোঁজ করতে খনন করার চেষ্টা করছেন। এদিকে বিজেপি মেহেবুবা মুফতির মন্তব্যকে দেশবিরোধী বলে মনে করছে।
পিটিআইকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রবীন্দর রায়না বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের তুলনা করাটা পুরো অযৌক্তিক। বাংলাদেশে যেভাবে মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, মহিলাদের হেনস্থা করা হচ্ছে, আর একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছেড়ে পালাতে হলো।
কী হয়েছিল সম্ভলে?
আসলে ১৫২৯ সালে একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সিভিল কোর্ট অ্যাডভোকেট কমিশনারকে মসজিদটি জরিপ করার নির্দেশ দেয়ার পরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওই দিনই মসজিদটির ‘প্রাথমিক জরিপ’ অনুষ্ঠিত হয়।
দলটি জেলা কর্মকর্তাদের নিয়ে মসজিদে ফিরলে মসজিদের পেছনে ও মসজিদের পেছনের সব রাস্তায় জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তেজিত জনতা পাথরও ছোড়ে।
খোলামেলা পোশাকে স্পষ্ট ক্লিভেজ, মধুমিতার নতুন ছবি তুমুল ভাইরাল
সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর পাথর ছোঁড়ার তীব্রতা বাড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, এই সহিংসতা পরিকল্পিত। তবে তদন্ত চলছে, জানিয়েছে পুলিশ। ১০-১৫ কিলোমিটার দূর থেকে মানুষ বিক্ষোভে এসেছিলেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।